বাংলায় গেরুয়া শিবিরের মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই যথেষ্ট, রথযাত্রা বাতিল হওয়ার পর অমিত শাহের বিষোদ্গারে সেটাই স্পষ্ট হয়ে গেল। পরিষ্কার হয়ে গেল, শুধু রাজ্যেই নয়, কেন্দ্রীয় স্তরেও মমতাই বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মমতাকে ঘিরেই দেশজুড়ে আবর্তিত হচ্ছে বিজেপি বিরোধী জোট। তারওপর আগামী ১৯ জানুয়ারি মমতার ডাকা ব্রিগেড জনসভার প্রেক্ষিতে বিজেপি এখন প্রবল চাপে। কারণ ইতিমধ্যেই দেশের ১৮ টি দল ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দেবে বলে জানিয়ে দিয়েছে।স্বভাবত ২০১৯ লোকসভা ভোটের মুখে এই ব্রিগেড সমাবেশকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী বিরোধী জোটের মহড়া হতে চলেছে। তাই শুধু রাজ্যের রথযাত্রার ব্যর্থতা নয়, বিরোধী পরিসরে মমতার গ্রহণযোগ্যতাই শিরঃপীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মোদী-শাহদের।
এসবের সঙ্গে, রাজ্যে বিজেপিকে রুখে দেওয়া গেলে সর্বভারতীয় স্তরে মমতার রাজনৈতিক অবস্থানই আরও পোক্ত হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আগামী ১০ ডিসেম্বর দিল্লীতে জোট প্রস্তুতির লক্ষ্যে বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন মমতা। এই সময়ে বিজেপি আটকে যাওয়ায় মমতার অবস্থানও জোরালো হল। ফলে বিজেপি নেতাদের স্নায়ুর চাপ আরও বাড়ল।
তাই একহাতে উন্নয়ন, অন্যহাতে ধর্মনিরপেক্ষতা অক্ষুণ্ণ রাখতে বদ্ধপরিকর মমতাই এখন বিজেপি বিরোধী জোটের মধ্যমণি। তাই চাপে গেরুয়া শিবির। আর তাই মমতার বিরুদ্ধে অমিত শাহের এই লাগামছাড়া আক্রমণ। আসলে বিজেপি যে মমতাকে ভয় পাচ্ছে, অমিত শাহের এমন বেলাগাম আক্রমণেই সেটা স্পষ্ট।