মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময়ই শিল্প সাহিত্য শিক্ষা বা প্রযুক্তি ইত্যাদি সর্বক্ষেত্রে বাংলাকে এগিয়ে রাখার চেষ্টায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। তাঁর আমলেই বাংলায় শিক্ষাব্যবস্থার প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে, হয়েছে কর্মসংস্থান, এসেছে শিল্পের জোয়ার। পিছিয়ে নেই তথ্য প্রযুক্তিক্ষেত্রও। বৃহস্পতিবার ১৭ তম ইনফোকমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেই কথাই জানালেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ডঃ অমিত মিত্র।
তিনদিন ব্যাপী ইনফোকমের এই অনুষ্ঠানে এসে অর্থমন্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ই- ট্যাক্সেশন থেকে শুরু করে ইন্টিগ্রেটেড ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্টের ব্যাবস্থা চালু করা হয়েছে। শুরু হয়েছে ই–অফিসও। যার মাধ্যমে সরকারী কর্মীরা ডিজিটাল ভাবে যে কোনও ফাইল দেখে নিতে পারছেন। যে কোনও ফাইলের কাজ কোথায় আটকে রয়েছে তাও খুব কম সময়ে জানা যাচ্ছে। ফলে অল্প সময়ে অনেক বেশি কাজ হচ্ছে।
জানা গেছে, মোট ৫০টি দফতরের কাজ এখন এই ভাবে হচ্ছে। পরবর্তীকালে কাজের সুবিধার জন্য আরও কিছু দফতরের কাজ এভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।
ই-ডিস্ট্রিক্ট পোগ্রাম থেকে শুরু করে রাজ্য ট্রেজারি সব ক্ষেত্রেই তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে বাংলা। ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে বার্থ সার্টিফিকেট প্রদান, জমির মিউটেশনও হচ্ছে ডিজিটাল ভাবে। কৃষকরা যাতে আবহাওয়া সহ মাটির গুণমান, জলস্তর ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের খবর খুব তাড়াতাড়ি পেতে পারেন তার জন্যেও ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
প্রকৃত অর্থেই সব দিকেই ‘এগিয়ে বাংলা’। সার্বিক উন্নতির চিত্র সেই তথ্যই তুলে ধরছে। সেই কথা বলতে গিয়েই অর্থমন্ত্রী জানালেন, ‘ ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট শুরু হওয়ার পরে প্রথম সপ্তাহেই আমাকে জরিমানা দিতে হয় এবং আমি তা দিয়েওছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী খুব খুশি হয়েছিলেন। অর্থমন্ত্রীর জরিমানা দেওয়ার এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করলো শাসক দলের অন্দরমহল ঠিক কতটা স্বচ্ছ।