মেসি-রোনালদো এখন বিশ্বের সবচেয়ে সেরা ফুটবলার। তবে যদি প্রশ্ন ওঠে যে এদের দুজন ছাড়া তবে এই প্রশ্নের জবাবে অধিকাংশেরই উত্তর হবে নেইমার। কয়েক বছর ধরে নেইমার নিজেও ধারাবাহিক ভাবে পারফর্ম করে যাচ্ছে। কিন্তু মাঠে যতটা না ভালো খেলেন, এর থেকে বেশি আলোচনায় থাকেন ‘ডাইভ’ দেওয়ার প্রবণতার জন্য। গায়ে একটু টোকা লাগলেই মাঠে পড়ে গিয়ে গড়াগড়ি দিয়ে রেফারির পক্ষপাত আদায়ের দিকেই তাঁর নজর থাকে বেশি। আর নেইমারের এই প্রবণতার সর্বোচ্চ প্রদর্শনী দেখা গেছে গত বিশ্বকাপে। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় তারকাকে প্রায়ই দেখা গেছে দৃষ্টিকটুভাবে মাঠে পড়ে যেতে। আর এতেই বিরক্ত ব্রাজিলের হয়ে তিনবার বিশ্বকাপজয়ী পেলে।
মাঠে নেইমারের এই ‘ডাইভ’ দেওয়ার কারণে তাঁকে সমর্থন দেওয়া কঠিন—এমনটাই মনে করেন পেলে, ‘নেইমারের সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। ফুটবল খেলার পাশাপাশি ও মাঠে যা কিছু করে, সবকিছু নিয়েই। আমি তাকে মনে করিয়ে দিয়েছি সে কত বড় একটা প্রতিভা। নিজের প্রতিভার প্রতি সুবিচার না করে, নিজের প্রতিভার সর্বোচ্চ ব্যবহার না করে তার মনোযোগ যদি ডাইভ দেওয়ার দিকেই থাকে, তাহলে তাকে সমালোচনা থেকে রক্ষা করাটা বেশ কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।’
২০১৮ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে নেইমারের ব্রাজিলকে। বিশ্বকাপের পর নেইমারের এসব কাণ্ডকীর্তি যেন আরও বেশি করে চোখে পড়েছে, আরও বেশি সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি। ইউরোপে আমি তার সঙ্গে দুবার দেখা করেছি, কথা বলেছি। আমি তাকে বলেছি, ঈশ্বর তোমাকে অনন্যসাধারণ ফুটবলীয় প্রতিভা দিয়েছেন। তাই মাঠে এমন কিছু কোরো না, যাতে সেই প্রতিভার অসম্মান করা হয়।’ ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ফোলহা দে সাও পাওলোকে কথাগুলো বলেছেন পেলে।