বড়সড় সঙ্কটের মুখে এনডিএ। আরও একটি শরিক হারানোর মুখে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। আর এই ধাক্কা আসতে পারে পূর্ব ভারতের রাজ্য বিহার থেকে। তিনি রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির (আরএলএসপি) সভাপতি এবং নরেন্দ্র মোদীর সরকারে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহা। দলের আরও দু’জন সাংসদকে নিয়ে তিনি কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের শরিক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক নেতার দাবি, মন্ত্রিত্বও ছেড়ে দিতে পারেন উপেন্দ্র কুশওয়াহা।
মোদী সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর মতবিরোধ চলছিল। লোকসভা ভোটে আসন বন্টন নিয়েও সমঝোতায় আসতে পারেনি দুপক্ষ। শেষ পর্যন্ত চরম পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির প্রধান। জানিয়ে দিলেন, এনডিএ ছাড়ছেন তিনি। ফলে লোকসভা নির্বাচনের মুখে ফের বড়সড় ধাক্কা খাচ্ছে মোদী সরকার।
রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির তরফে জানানো হয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপির মনোভাবে অসন্তুষ্ট ছিলেন কুশওয়াহা। যেমন রামমন্দির নিয়ে মাতামাতিতে সায় নেই তাঁর। নোটবন্দী এবং দূর্ণীতি প্রসঙ্গেও মোদী সরকারের মানসিকতার সঙ্গে নিজেদের মেলাতে পারছেন না কুশওয়াহা। এই পরিস্থিতিতে মোদী সরকারে থাকার যৌক্তিকতা দেখছেন না তিনি। তাই এনডিএ ছাড়ার সিদ্ধান্ত। জানা গেছে, দু-একদিনের মধ্যেই বিহারের মোতিহারিতে সভা করে আনুষ্ঠানিকভাবে এনডিএ ছাড়বেন উপেন্দ্র।
বিজেপির রামমন্দিরের জিগির তোলা নিয়ে লোকসভায় উপেন্দ্র বলেছিলেন, ‘সন্দেহ হয় দারিদ্র, অশিক্ষা ও কর্মসংস্থানের অভাবের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থেকে মানুষের মনোযোগ ঘুরিয়ে দিতেই মন্দির প্রসঙ্গ তুলেছে বৃহত্তম শাসক দল’।
বিহারে পরপর দূর্ণীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের নীরাবতাতেও প্রশ্ন তুলেছেন কুশওয়াহা। আসন বন্টনে সম্মানজনক রফা করতে ৩০ নভেম্বর অবধি সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল আরএলএসপি। তাতেও গুরুত্ব না পেয়ে এনডিএ শিবির ত্যাগে মনঃস্থির করেছেন দলীয় প্রধান।