বাংলা বারংবার বঞ্চনার শিকার হলে, তা একেবারেই বরদাস্ত করবেন না তিনি। এ কথা আগেও বহুবার বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বাজকুলের পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে আবারও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে একহাত নিলেন তিনি। নন্দীগ্রাম রেলপ্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবার নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাজকুলের মঞ্চ থেকেই মমতা বলেন, ‘বাজকুলের মানুষদের মনে আছে, দীঘা-তমলুক রেললাইন কতদিনের দাবি ছিল? এখানকার মানুষের কথা ভেবে সেই দাবিপূরণ করেছিল কে? মাত্র ন’মাসেই আমি তা করে দিয়েছিলাম, মনে রাখবেন। নন্দীগ্রাম পর্যন্ত লাইন জুড়ে দেওয়া হয়েছিল তখনই। কিন্তু এখনকার সরকার সেই কাজ ফেলে রেখে দিয়েছে।’
প্রসঙ্গত, রেলমন্ত্রী থাকার সময় নন্দীগ্রামে রেললাইন প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মমতা। এমনকি নন্দীগ্রামে রেললাইনের জন্য জমিদাতাদের প্রত্যেক পরিবার পিছু চাকরির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি। সেইমতো ২০১০ সালের ৩০ জানুয়ারি দেশপ্রাণ-নন্দীগ্রাম রেলপ্রকল্পের শিলান্যাসের পর জমি অধিগ্রহণ ও প্রকল্পের রূপায়ণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজ শুরু হয়েছিল। একইসঙ্গে ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রস্তাবিত এই রেলপথের জন্য জমিদাতাদের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু গত ৮ বছরে জমি অধিগ্রহণ করে কিছু এলাকায় মাটি ফেলা, প্রস্তাবিত স্টেশন তৈরির প্রাথমিক কাজ ও একটি সেতু নির্মাণ ছাড়া প্রকল্পের কোনও কাজই আর এগোয়নি। ফলে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নন্দীগ্রাম রেল প্রকল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে ক্রমাগত অভিযোগ তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। সমস্যায় পড়েছেন ওই প্রকল্পে জমিদাতারাও। যা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা। তবে নন্দীগ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে তাঁর আশ্বাস, ‘আমরা যখন ক্ষমতায় আসব, তখন আবার করে দেব।’