‘দাঙ্গা, অপপ্রচার, গণপিটুনি রুখতে যেখানে–যেখানে এ রাজ্যের সঙ্গে ঝাড়খণ্ড ও উড়িষ্যার সীমান্ত রয়েছে, সেখানে–সেখানে সিসি টিভি এবং ওয়াচ টাওয়ার বসাতে হবে’। মেদিনীপুরের পুলিস লাইনে প্রশাসনিক সভায় এমনই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দলের গোরক্ষকদেরে হাতে খুন হওয়া পুলিস অফিসার সুবোধকুমার সিংয়ের মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
অবৈধ বালি খাদান বন্ধেও কড়া বার্তা দেন মমতা। জেলাশাসকদের উদ্দেশ্যে নির্দেশ দেন, ‘৬ মাসের মধ্যে সমস্ত বালি খাদানে সিসি টিভি লাগাতে হবে। মাফিয়ারা যাতে সিসি টিভি–র মুখ ঘুরিয়ে দিয়ে বালি ট্রাক নিয়ে যেতে না পারে, সে জন্য সমস্ত খাদানে পুলিস পোস্টিং থাকবে’। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘এটা একটা বড় সমস্যা। আর বরদাস্ত করা হবে না’।
প্রশাসনিক সভায় সাংসদ মানস ভুইঁয়া উল্লেখ করেন, টোল ট্যাক্স ফাঁকি দিতে ১২ চাকা থেকে ২২ চাকা পর্যন্ত ভারী গাড়ি গ্রামীণ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করার ফলে গ্রামের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাস্তা বসে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামীণ সড়কে বাঁশের ব্যারিকেড করুন। নিয়ম ভাঙলে মোটা টাকার জরিমানা করুন। এতেও কাজ না হলে ১০ দিনের জন্য ট্রাক, লরি আটক করে রাখুন। ওভারলোডেড কোনও গাড়ি গ্রামের রাস্তায় ঢুকবে না। সারা বাংলা জুড়ে এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে।’ জেলাশাসক ও পুলিস সুপারকে তিনি বলেন, ‘এখন থেকে গ্রামীণ সড়কে চার চাকার ট্রাক ছাড়া এর বেশি চাকার কোনও ভারী গাড়ি চলবে না। সরকারি কোনও প্রকল্প হলে বিশেষ অনুমতি নিয়ে যেতে হবে’।
প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নির্মল বাংলা, রেশন ব্যবস্থা, কৃষি, সেচ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, একশো দিনের কাজ, বন, হাতির সমস্যা, প্রত্যন্ত গ্রামে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া, মাদুর ও পটশিল্পের উন্নতিকরণ, খড়্গপুর ও গোয়ালতোড় শিল্প তালুকের কাজের অগ্রগতি নিয়ে জেলাশাসকের কাছে জানতে চান। নির্মাণ সহায়করা কেমন কাজ করেছেন, জনগণকে ঠকিয়েছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন ম্যখ্যমন্ত্রী।