দিল্লীর নেতাদের বসন্তের কোকিলের সঙ্গে তুলনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন মমতা। বলেন, ‘দিল্লীর নেতারা তো বসন্তের কোকিল। আগুন লাগিয়ে দিয়ে চলে যান। আর সেই আগুন নেভানোর কাজ রাজ্য সরকারকে করতে হয়’।
কেশিয়াড়িতে পঞ্চায়েত ভোটে ভালো ফল করেছে বিজেপি। সেই প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, ‘এমন একটা পার্টিকে আপনারা এখানে নিয়ে এলেন, যারা আপনাদের ভিটে মাটি বেচে দেবে’। তার অভিযোগ, ‘যে সিপিএমের লোকেরা অত্যাচার করত, তারাই এখন বিজেপিতে নাম লিখিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে’। নির্বাচনের মুখে বিজেপির রথযাত্রায় বিভিন্ন মনীষীর ছবি লাগানোকে তীব্র কটাক্ষ ও সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের মুখে এই রাবনযাত্রায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল-সহ বিভিন্ন মনীষীদের ছবি লাগাচ্ছে। তাঁদের নাম ভাঙাচ্ছে। ছবি লাগিয়ে তাঁদের অসম্মান করা হচ্ছে’।
কেশিয়াড়ির খাজরায় পান ব্যবসায়ী খুনের প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তৃণমূল কর্মী বিভূরঞ্জন দাসকে খুন করে বিজেপি আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। এখন তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট’।
বিজেপির নাম না করে মমতা বলেন, ‘আমায় কেউ আঘাত করলে প্রত্যাঘাত করি। আমায় যদি কেউ আঘাত করেন, জেনে রাখবেন, যেটুকু করেছেন তা ভেঙে দিয়ে চলে যাব। জোর করে নয়, মানুষের রায়ে, মানুষের ভালোবাসায়।
এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী ৯৮ টি প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেন। যার প্রকল্পমূল্য প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। উপভোক্তাদের হাতে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবাও তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।