‘সিপিএমকে বিদায় দিয়েছি আমরা। এবার বিজেপিকে বিদায় করব। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা’। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির তেলিপুষ্করিনী মাঠে পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট বলেন, ‘দিল্লীর চোখ রাঙানি আমাদের দেখাবেন না। দিল্লী দু’দিন বাদে শূণ্য হয়ে যাবে। ভারত থেকে বিজেপির বিদায় হবে। সিপিএমের অত্যাচারীরা বিজেপিতে নাম লিখিয়ে আপনাদের ভুল বোঝাচ্ছে। আপনাদের নিয়ে চক্রান্ত করছে’।
কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি। সেই প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে কেউ কেউ বলেছিলেন, কেন কেশিয়াড়ি আসছি? এখানে তো আমাদের দল হেরে গেছে। আমি তাঁদের বলেছি, হেরেছি বলেই এসেছি। বারবার আসব। যারা মিথ্যা বলে হারিয়েছে, তাদেরকে হারাতে হবে’। গেরুয়া শিবিরের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘যাঁদের নিয়ে এলেন তাঁরা ভয়ানক বিপজ্জনক। ভিটেমাটি বিক্রি করে দেবে। কোনও কাজ করবে না। আমি আপনাদের রাগকে সমর্থন করি। কোনও কোনও নেতা নিশ্চই এখানে দুষ্টুমি করেছেন। তাঁদের আমরা সরিয়ে দিয়েছি’।
এরপরেই বিজেপির উদ্দেশ্যে কড়া রাজনৈতিক আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘কেউ কেউ মিথ্যে বলে আপনাদের ভুল বুঝিয়েছে। আসলে ওরা কোনও কাজ করে না। ওরা হনুমানকে দলিত বানায়। এভাবে দলিতদের অপমান করা হচ্ছে। এরপর তো লোককে ইঁদুর, বেড়াল, কুকুর বলবে! আদিবাসীরা জহরথানে পুজো করেন। তাঁদের দেবতা মারাং বুরু। তাঁদের গিয়ে বলা হচ্ছে হনুমানের পুজো করতে! ঐতিহাসিক জায়গার নামও বদলে দিচ্ছে ওরা। এঁরা জানে না মানুষকে অসম্মান করলে মানুষ তার যোগ্য উত্তর দেয়’।
উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, মা-বোনেদের সম্মান দিয়ে ভালো করে কাজ করব, এটা আমাদের শপথ, প্রতিজ্ঞা। আরও উন্নয়ন চাইলে করে দেব। কিন্তু দয়া করে ভুল বুঝবেন না। কতকগুলি নাচানাচি করা বাইরের বাইরের উগ্রপন্থী লোক ঝাড়খণ্ড থেকে এসে ভুল বোঝাচ্ছে, এদের কথা শুনবেন না। আমাদের কেউ অন্যায় করলে বলবেন। আমরা তাঁদের শাস্তি দিই’।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, মানস ভুঁইয়া, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিং হাজরা প্রমুখ।