সিবিআই অফিসারদের দপ্তরে ডেকে বুঝিয়েও বিবাদ সামলাতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আরবিআই গভর্নর, ডেপুটি গভর্নররা অসন্তোষ প্রকাশ করছেন ঘনঘন। জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক জানিয়েছেন, দিল্লী কীভাবে উপত্যকায় নাক গলাচ্ছে বারবার! সব মিলিয়ে মোদী-শাহের হাত থেকে যে সরকারের রাশ বেরিয়ে যাচ্ছে সেটা স্পষ্ট। এবার কি তবে দলের রাশও আলগা হচ্ছে? একের পর এক ঘটনায় এখন এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে জাতীয় রাজনীতিতে।
মোদী-শাহের হাত থেকে দলের রাশ আলগা হওয়ার অভিযোগ উঠছে কেন? রাজস্থানে দলের রাজ্য সভাপতি বাছতে গিয়ে বসুন্ধরা রাজের কাছে মাথা নোয়াতে হয়েছে খোদ অমিত শাহকে। মধ্যপ্রদেশে নির্বাচন শেষ হতেই বিজেপির ঊষা ঠাকুর দলের পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। আর উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথকে তো বাগেই আনতে পারছেন না মোদী-শাহ জুটি। সব মিলিয়ে একের পর এক বিদ্রোহ মাথাচাড়া দিচ্ছে দলের অন্দরে। পাশাপাশি প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রক্ষণ্যম থেকে সদ্য প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ওমপ্রকাশ রাওয়াত – সরকারের নানা সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে অস্বস্তি বাড়িয়েই চলেছেন।
এইসব টুকরো টুকরো ছবিই বুঝিয়ে দিচ্ছে, দলের মধ্যে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ জুটি কতটা অস্বস্তিতে। কটাক্ষ করে অনেকে বলছেন, কেউ বাগে নেই, সবাই বাগী। অর্থাৎ বিদ্রোহী। সদ্য বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া মহারাষ্ট্রের নানা পাটোলের কথায়, ‘অপেক্ষা করুন, আরও উলটপুরান দেখবেন’।
একসময় কংগ্রেস সম্পর্কে বলা হত, দলে অনেক মাথা আর নেতায় নেতায় দ্বন্দ্ব। এখন সেই ছবি কিছুটা হলেও বদলেছে। আর ঠিক উল্টো ছবি দেখা যাচ্ছে বিজেপিতে। এতদিন যাঁদের মুখ বন্ধ রেখেছিলেন মোদী-শাহ, এখন তারাই ক্ষোভ জানাচ্ছেন।যদিও বিজেপির মুখপাত্র নরসিংহ রাও বলছেন, ‘এসব খুচরো ঘটনা, বড় কিছু নয়’।