নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট উসকে দিল ইভিএম কারচুপির অভিযোগ। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে স্ট্রংরুমে ইভিএম মেশিন থাকলেও, সেখানে সিসি ক্যামেরা প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের বেশী বিকল হয়ে ছিল। কাজ করেনি এলইডি স্ক্রিনও। সেইজন্য ওই সময়ের ফুটেজ ধরা পড়েনি ক্যামেরায়। মেনে নিল নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি জেলাশাসকের দফতরে দেরিতে ইভিএম পৌঁছনোর কথা স্বীকার করে নিয়ে ঘটনার জন্য সগরের মহকুমাশাসক রাজেশ মিশ্রকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।
কংগ্রেস প্রতিনিধিরা মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ের ইভিএম-এর সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছিলেন। সেই প্রেক্ষিতেই একটি বিবৃতিতে এই জবাব দিয়েছে কমিশন।
কংগ্রেস সাংসদ বিবেক তঙ্খার অভিযোগ, ‘মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী ভূপিন্দর সিংয়ের কেন্দ্র সাগর জেলার খুরাই আসনে ভোটের ২ দিন পর নম্বরপ্লেটহীন স্কুলবাসে করে অব্যবহৃত ইভিএম নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সাগর জেলার জেলাশাসকের দপ্তরে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। কারণ, ২ দিন নয়, ভোট শেষ হওয়ার দুঘণ্টার মধ্যে সব ইভিএম জেলাশাসকের দপ্তরে নিয়ে যাওয়ার কথা’। এরই প্রেক্ষিতে ব্যবহৃত ইভিএমগুলি অন্য রুমে সুরক্ষিতই ছিল এবং আছে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে কমিশনের বিবৃতিতে।
একই সঙ্গে কমিশনের কাছে ছত্তিশগড়ের ধামতাড়ি বিধানসভা আসনের স্ট্রংরুমের বাইরে মোবাইল এবং ল্যাপটপ হাতে সন্দেহভাজনের উপস্থিতি নিয়েও আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন কংগ্রেস প্রতিনিধিরা। তাঁদের অভিযোগ, স্ট্রংরুমে সিসিটিভি সারানোর নামে ওই সন্দেহভাজনেরা রুমের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিল।