ঘর ভাঙল প্রদেশ কংগ্রেসের। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন অধীর চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত যুব নেতা অনুপম ঘোষ। তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। রবিবার উত্তর কলকাতায় মহেশ্বরী ভবনে বিজেপির যুব মোর্চার সম্মেলনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁর হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে দেন।
দল ছাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করে রাহুল গান্ধীকে একটি দীর্ঘ চিঠি লিখেছেন অনুপম। তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, বাংলায় কংগ্রেসের রাজনৈতিক অবস্থান কার্যত আত্মহত্যা করার সামিল। এ কারণেই তাঁর দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত বলে রাহুলকে চিঠিতে লিখেছেন অনুপম।
প্রসঙ্গত, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর অধীর দলের মিডিয়া সেলের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন অনুপমের হাতে। কিন্তু সম্প্রতি রাহুল গান্ধী প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে অধীরকে সরিয়ে সোমেন মিত্রকে ওই দায়িত্বে আনেন। তারপর থেকেই অধীর ঘনিষ্ঠ প্রদেশ নেতাদের ক্ষমতা খর্ব হতে শুরু করে। দলের অন্দরে কোণঠাসা হয়ে পড়েন অনুপমও। এরই জেরে তাঁর দলবদলের সিদ্ধান্ত, এমনটাই মনে করছেন রাজনীতিবিদদের একাংশ।
বিধানভবনে জোর গুঞ্জন, বহরমপুরের কংগ্রেস এমপির পরামর্শেই তাঁর অত্যন্ত আস্থাভাজন এই নেতা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন। উল্লেখ্য, খোদ অধীরের বিজেপিতে যাওয়া নিয়ে গত কয়েকমাস ধরেই বহু জল্পনা চলছে। কারণ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কিংবা সংসদে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছিলেন তিনি। এমনকি রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস বিজেপি বিরোধী জোট করলে তিনি তাঁর বিরোধীতা করবেন বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন অধীর।
অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে অধীর-ঘনিষ্ঠ অনুপমের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়েছে। বিজেপির অনেকেও মনে করছেন, ‘রাজনৈতিক গুরুদেব’-এর সঙ্গে আলোচনা করেই অনুপম বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। রাজ্য বিজেপির একাংশের মতে, অনুপমের বিজেপিতে আসার মধ্যে আসলে ইন্দিরা ভবনের কোনও বড় নেতার দলবদলের ইঙ্গিত রয়েছে। তবে কি সেই বড় নেতা স্বয়ং অধীরই? তবে কি এবার ‘ছুপারুস্তম’ অধীরের বিজেপি যাওয়ার পালা? এর উত্তর সময়ই বলবে।