তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসতেই উন্নয়নের জোয়ার এসেছে রাজ্যে। বাম আমলে ঋণের বোঝায় ধুঁকতে থাকা বাংলা এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শিল্পক্ষেত্রে প্রচুর বিনিয়োগ আসতে থাকায় একদিকে যেমন বেকারত্ব কমেছে, তেমনি প্রশাসনের কাছ থেকে নানারকম সুযোগ-সুবিধা পেয়ে লাভের মুখ দেখেছে রাজ্যের কৃষকরাও। ফলে কৃষককন্যার পরনেও এখন ব্রান্ডেড কোম্পানির ফেডেড জিন্স, হাতে শোভা পাচ্ছে দামি ট্যাব। সিপিএমের কৃষক পদযাত্রায় এমনই দৃশ্য দেখল গোটা দুনিয়া।
হাজার হাজার মানুষ৷ সকলেই কৃষক। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাঁরা হেঁটে যাচ্ছেন পদযাত্রায়। দীর্ঘ পথ হাঁটার ক্লান্তি দূর করতে কারও হাতে ফ্রুট জুস বা চিল্ড এনার্জি ড্রিঙ্ক। কেউ আবার একঘেয়েমি দূর করতে হাঁটতে হাঁটতেই হাতের দামি মোবাইলে ফোনবন্দী করে রাখছেন চারপাশের দৃশ্য। এই সকল কৃষকবন্ধুর পাশেই স্লোগান দিতে দিতে হেঁটে চলেছেন অনেক কৃষককন্যাও। তাঁদের বুদ্ধিদীপ্ত চোখমুখ থেকে ঝরে পড়ছে শিক্ষার ঝলক। স্লোগান দিতে দিতেই অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে তাঁরা আপডেট দিয়ে চলেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফলে রাজ্যে শিক্ষার প্রসারও যে ঘটেছে তারও প্রমাণ মিলল ওদিনের পদযাত্রায়।
মমতার আমলে শিক্ষা এখন পৌঁছে গেছে বাংলার ঘরে ঘরে। বাদ পড়েনি গ্রামের প্রত্যন্ত চাষী পরিবারগুলিও। একইসঙ্গে কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় বাংলার পিছিয়ে পড়া মেয়েরাও এখন সমাজের মূল স্রোতে। সিপিএমের কৃষক পদযাত্রায় তারই ঝলক দেখল গোটা দুনিয়া। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা চলল গোটা দিনই। সেখানে নেটিজেনরা প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন বাংলার জননেত্রী মমতাকে। কেউ কেউ তো সেই দৃশ্যের ছবিও নিজের নিজের ফেসবুকে বা টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করে কুর্নিশ জানান রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে। এমনকি ইউনিসেফের তরফ থেকে কন্যাশ্রীকে পুরস্কৃত করার পরও যারা কুৎসায় পঞ্চমুখ ছিলেন, এদিনের ছবি দেখে তারাও মুখে কুলুপ এঁটেছেন।