মেয়র পদে বসার আগেই মামলার মুখোমুখি হতে হচ্ছে ফিরহাদ হাকিমকে। বিধানসভায় গৃহীত যে পুর আইন সংশোধনের মাধ্যমে কাউন্সিলরদের বাইরে থেকেই মেয়র পদে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটির বিরুদ্ধেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন ৭৫ নং ওয়ার্ডের সিপিআইএম কাউন্সিলর বিলকিস বেগম।
মামলাকারী কাউন্সিলর বিলকিস বেগমের অভিযোগ, ১৯৮০ কেএমসি অ্যাক্টের যে সংশোধনী আনা হয়েছে, তা বেআইনি৷ ওই কাউন্সিলর বলেন, কলকাতা পুরসভার ১৯৮০ সালের আইনে উল্লেখ রয়েছে শুধুমাত্র পৌর পিতা বা পৌরমাতাই মেয়র হতে পারবেন । সেই আইনকে সংশোধন হয়। কিন্তু ৮০ সালের আইনে এও বলা রয়েছে বহিরাগত কেউই মেয়র পদে বসতে পারবে না। বিধানসভায় নতুন সংশোধনীতে সংযোজন হয় যে কোনও ব্যক্তি মেয়র হতে পারেন, তবে কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে বহিরাগত ব্যক্তিকে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আসতে হবে । এই নিয়মেরই পালন করা হয়নি৷ এই সংশোধনী বিল বর্তমানে রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্যে গিয়েছে।
বাংলার রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠি ৫ দিন পর রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলের বিস্তারিত ব্যাখ্যা শুনে বিলটিকে আইনে পরিণত করার জন্য স্বাক্ষর করেছেন। তবে মেয়র পদে সিপিআইএম কোনও প্রার্থী দেবে না বলে জানিয়েছে। কারণ তারা এই বিলকে বেআইনি বলে ইতিমধ্যেই আদালতে গিয়েছে। কিন্তু ভোটে লড়াই করতে চাইছে বিজেপি। কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে হাতেগোনা ৪ থেকে ৫ জন কাউন্সিলর রয়েছে বিজেপির। তা সত্ত্বেও তারা মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে। ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত মেয়র পদে বিজেপির হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ফলে ৩রা ডিসেম্বর ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন হওয়ার সম্ভবনাই বেশি।