বিরোধীদের অভিযোগ ছিল কাউন্সিলর না হয়ে মেয়র হবেন ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু মেয়রের জন্য তাঁকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্মুখীন যে হতে হবে তা স্পষ্ট হয়ে গেল বুধবারই। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মতে এদিন কলকাতা কর্পোরেশন এসে মেয়র পদে নিজের মনোনয়ন দাখিল করেন ফিরহাদ। সঙ্গে ছিলেন ভাবি ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ সহ অন্য সঙ্গী। তার বিরুদ্ধে মনোনয়ন জমা দিলেন বিজেপির মীনা দেবী পুরোহিত। তিনি কলকাতা পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। সংখ্যাতত্ত্বের নিরিখে ১২২ বনাম ৫ বর্তমানে কলকাতা পুরসভায় তৃণমূলের কাউন্সিলর রয়েছে। ১২২ জন আর বিজেপির কাউন্সিলের সংখ্যা মাত্র ৫। কিন্তু বিজেপি শিবিরের মনােনয়ন দাখিলে আগামী ৩ ডিসেম্বর ভােট হবে কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র পদে। যদিও বাম ও কংগ্রেসের কাউন্সিলর থাকলেও তারা মেয়র পদে মনোনয়ন দেয় না।
এদিকে, বুধবার পুরো আইনকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে গেছে সিপিএম। এদিন সকাল থেকেই ব্যাপক উন্মদনা ছিল পুরভবনে। দুপুরের দিকে কলকাতা কর্পোরেশনে আসেন তিনি। তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানাে হয়। পুর সচিব হরিহর মন্ডলের কাছে মনােনয়ন জমা দেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষের মনে আছি। সিপিএম আদালতে ও সংবাদমাধ্যমে রয়েছে। ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, ‘ একসময় কাউন্সিলর হয়ে কাজ করেছি, মেয়র পারিষদ হয়েছি। সেইসব কথা মনে পড়ছে আজকে। এবার যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেই মেয়রের দায়িত্ব পালন করতে চাই।প্রসঙ্গত, কলকাতায় মোট ১৪৪ জন কাউন্সিলর রয়েছে। তার মধ্যে ১২২টি কাউন্সিলর তৃণমূলের। এদিকে বিজেপির হাতে রয়েছে মাত্র ৫ জন কাউন্সিলর। ফলে ভােটযুদ্ধে তৃণমূল ঝড়ে যে উড়ে যাবে গেরুয়া ব্রিগেড তা কার্যত স্পষ্ট।