প্যারিসে ‘সি’ গ্রুপে ২-১ গোলে জেতে টমাস টুখেলের দল। হুয়ান বের্নাতের গোলে পিএসজি এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার। বিরতির ঠিক আগে ব্যবধান কমান জেমস মিলনার।
সেপ্টেম্বরে লিভারপুলের মাঠে ৩-২ গোলে হেরে যাত্রা শুরু হয়েছিল পিএসজির।
ম্যাচের শুরু থেকে লিভারপুলের রক্ষণকে কাঁপিয়ে দেওয়া পিএসজি সপ্তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো। তবে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে দি মারিয়ার জোরালো শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক আলিসন।
গোলের জন্য তাদের অপেক্ষা অবশ্য দীর্ঘ হয়নি। ত্রয়োদশ মিনিটে ডি-বক্সে জটলার মধ্যে আলগা বল পেয়ে একটু ভিতরে ঢুকে ডান পায়ের শটে কাছের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন বের্নাত। গত রাউন্ডে নাপোলির মাঠে ১-১ ড্র ম্যাচেও দলের একমাত্র গোলটি করেছিলেন স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার।
এগিয়ে গিয়ে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠা পিএসজি ৩৭তম মিনিটে পায় দ্বিতীয় গোলের দেখা। বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে গোলমুখে বল বাড়ান এমবাপে। ওখানে এদিনসন কাভানির টোকা কোনোমতে পা দিয়ে ঠেকান আলিসন; কিন্তু বল চলে যায় নেইমারের পায়ে। অনায়াসে আসরে নিজের চতুর্থ গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে জেমস মিলনারের সফল স্পট কিকে ম্যাচে ফেরে লিভারপুল। ডি-বক্সে সাদিও মানেকে আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার দি মারিয়া ফাউল করলে পেনাল্টিটি পায় অতিথিরা।
বিরতির পর পিএসজির খেলায় গতি কমে আর সেই সুযোগে আক্রমণের ধার বাড়ায় লিভারপুল। তবে মোহামেদ সালাহ-রবের্তো ফিরমিনোরা তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারছিলেন না।
এরই মাঝে ৬৯তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। কর্নারে উড়ে আসা বলে মার্কিনিয়োসের অনেকটা লাফিয়ে নেওয়া জোরালো হেড দারুণ ক্ষিপ্রতায় ঠেকান আলিসন। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে নেইমারের ফ্রি-কিক ব্রাজিলিয়ান এই গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দলকে ম্যাচে রাখেন। তবে শেষ পর্যন্ত সমতায় ফেরা আর হয়নি তাদের।
পাঁচ ম্যাচে দুটি করে জয় ও ড্রয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে পিএসজি। ‘সি’ গ্রুপের অন্য ম্যাচে সার্বিয়ার ক্লাব রেড স্টার বেলগ্রেডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে নাপোলি। ৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে লিভারপুল।৪ পয়েন্ট পাওয়া বেলগ্রেডের নকআউট পর্বে ওঠার আশা শেষ হয়ে গেছে।