মঙ্গলবার বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়ক সমীরকুমার জানার সরকারি প্রতিষ্ঠান তন্তুজ এবং মঞ্জুষার আয় সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের অর্থ তথা ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্রমন্ত্রী ডঃ অমিত মিত্র জানালেন, চলতি অর্থবর্ষে বেশ ভালই লাভ করেছে এই সংস্থা দুটি।
তিনি জানিয়েছেন, এই বছর ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের ব্যবসার পরিমাণ ছিল ১৬৭ .৭০ কোটি টাকা। অপারেশনাল প্রফিট ৭ .৩৯ কোটি টাকা। ১.৪.২০১৮ থেকে ৩১.১০.২০১৮ পর্যন্ত মঞ্জুষার মোট ব্যবসার পরিমাণ ৭২ .৭০ কোটি টাকা এবং লাভ হয়েছে ৩ .৩৯ কোটি টাকা। ২০০৮-০৯ আর্থিক বছরে তন্তুজের ব্যবসার পরিমাণ ছিল ৪০ কোটি টাকা। ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৯ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা। ২০০৯-১০ আর্থিক বছরে ব্যবসার পরিমাণ ছিল ৪৮ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১৬ কোটি ২১ লক্ষ টাকা। ২০১০-১১ সালে ব্যবসার পরিমাণ ছিল ৫৫ কোটি ০৯ লক্ষ টাকা। ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১২ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা।
মন্ত্রী বলেন, ‘২০১১-১২ সালে প্রথম লাভের মুখ দেখল তন্তুজ। সেই লাভের পরিমাণ ছিল ১৯ লক্ষ টাকা। সেই বছরে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদল হয়েছিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বাংলার জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে ব্যবসার পরিমাণ দাঁড়ায় ২০৪ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। লাভ হয় ১০ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা। চলতি বছরে এপ্রিল মাস থেকে অক্টোবর পর্যন্ত তন্তুজের ব্যবসা হয়েছে ১৬৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। আর লাভ হয়েছে ৭ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা।’
জানা গেছে, তন্তুজের বিপুল বৃদ্ধির কারণ নতুন নতুন ডিজাইন। এখন শাড়ির পাশাপাশি জ্যাকেট স্কার্ফ এবং স্টোল বিক্রি করা হচ্ছে। মঞ্জুষার লাভের কারণ, তারা এখন মধ্যস্বত্বভোগীদের বাদ দিয়ে কারুশিল্পী, স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং ক্ষুদ্র উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে সরাসরি জিনিস কিনছে৷ এমনকি কারুশিল্পীদের যে শিবির করা হয় সেখান থেকেও জিনিস কেনা হয়৷ কারুশিল্পীদের টাকা পেতে দেরি হচ্ছে না৷ এইসবের কারণেই তন্তুজ ও মঞ্জুষায় বিক্রি বেড়েছে, ফলে লাভের মুখ দেখেছে দুটি সংস্থাই।