উৎসবের মরশুম যেতেই আবারও জেলা সফরে বেড়িয়ে পড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, এবারের সফরে ৫ জেলায় যাবেন তিনি। নভেম্বরের ২৬ তারিখ, অর্থাৎ আজ থেকেই শুরু হচ্ছে এই সফর। প্রথমদিনেই ঝাড়গ্রামের জামবনিতে জনসভা ও প্রশাসনিক বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
২৭ তারিখ, অর্থাৎ আগামীকাল তিনি রওনা দেবেন পুরুলিয়ার উদ্দেশ্যে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জেলাতেই বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট লুঠের অভিযোগ উঠেছিল। তাই মমতার পুরুলিয়া সফর নিয়ে আশাবাদী দলীয় কর্মী থেকে শুরু করে আমজনতাও। আগামীকাল দেড়টা নাগাদ বেলগুমার পুলিশ লাইনে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তিনি। এরপর ব্যাটারি গ্রাউন্ডে একটি জনসভা করবেন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সেখানকার বসবাসকারী হিন্দিভাষীরা উপস্থিত থাকবেন সেই সভায়।
এর পাশাপাশি, পুরুলিয়ার বলরামপুর কলেজ ময়দানেও একটি জনসভা করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। সেখান থেকেই বাঁকুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তিনি। ২৮ তারিখ বাঁকুড়া পৌঁছেই দুপুর দেড়টা নাগাদ শালতোড়ায় জনসভা করবেন মমতা। তারপর বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেবেন।
তার পরের গন্তব্য বর্ধমান। আগামী ২৯ নভেম্বর সকালে পশ্চিম বর্ধমানের রাণীগঞ্জ-জামুড়িয়ায় জনসভা করবেন তিনি। এছাড়া একটি প্রশাসনিক বৈঠকও করবেন মমতা। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী ভগত সিং স্টেডিয়ামে হেলিকপ্টার করে নামবেন এবং তারপর বৈঠক করবেন সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে। সভার পর তিনি রাতে থেকে যাবেন দুর্গাপুর হাউসে।
পরের দিন ৩০ নভেম্বর পূর্ব বর্ধমান উড়ে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে পুলিশ লাইনে দুপুর দেড়টায় থাকছে এই সফরের শেষ জনসভা। সভা সেরে ৩০ তারিখই তিনি ফিরে আসবেন কলকাতা। ওইদিন নবান্নতে রয়েছে ক্যাবিনেট মিটিং।
মুখ্যমন্ত্রীর সভা ঘিরে প্রশাসনিক কর্মব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই জেলা সফর অত্যন্তই তাৎপর্যপূর্ণ। জেলার সাংগঠনিক শক্তি মজবুত করার জন্য মমতা জেলার দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে কী বার্তা দেন সেই দিকেই তাকিয়ে সকলে। তবে এবারও মমতার সভা ঘিরে রেকর্ড ভিড় হওয়ার আশা রাখছেন ৫ জেলার নেতৃত্বই।