রাম-বাম যে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ তা আরও একবার প্রকাশ্যে এনে দিল রাজস্থানের বিধানসভা ভোট। কংগ্রেসের সঙ্গে নিজেদের দু’মুখো অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট করে দিল তারা।
রাজস্থানের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ২৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে সিপিএম। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোট কাটাকাটির জেরে কংগ্রেসকে বেকায়দায় ফেলে আদতে বর্তমান শাসকদল বিজেপির সুবিধা করে দেওয়ার পথে হাঁটতে চলেছে সিপিএম নেতারা। অর্থাৎ বামেদের বিরুদ্ধে রামেদের সঙ্গে মিলে যাওয়ার যে অভিযোগ ওঠে তা অনেকাংশেই সত্য।
সিপিএমের এমন দ্বিচারি মানসিকতা ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাদের অনেকটাই ব্যাকফুটে ঠেলে দিতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যার জেরে রাজ্য তথা জাতীয় স্তরে নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে ওঠার আশঙ্কাও রয়েছে সিপিএমের।
জানা গিয়েছে, রাজস্থানে ইতিমধ্যেই সিপিএম, সিপিআই-সহ মোট ৭ টি রাজনৈতিক পার্টি একটি আলাদা মঞ্চ তৈরি করেছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে, ‘রাজস্থান লোকতান্ত্রিক মোর্চা’। তারা সম্মিলিতভাবে রাজস্থানে বিজেপি এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মোট ৪৫ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। যার মধ্যে সিপিএম একাই দিয়েছে ২৮ কেন্দ্রে।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে রাজস্থানে মোট বিধানসভা আসনের সংখ্যা ২০০ টি, সেখানে ৪৫ টি আসনে সম্মিলিতভাবে লড়াই করে ভোট কাটাকাটি ছাড়া অ-বিজেপি এবং অ-কংগ্রেসী দলগুলি আর কী করতে পারবে? বরং এক্ষেত্রে মোদী বিরোধী জোটকে এককাট্টা করতে পারাই যুক্তিযুক্ত হতে পারত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এ ব্যাপারে সিপিএমের পলিটব্যুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা রাজস্থানের ভারপ্রাপ্ত নেতা হান্নান মোল্লা বলেন, ‘কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থী দেওয়া যাবে না, এমন কোনও নীতি সিপিএম নেয়নি। তাহলে এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে কেন?’ এমন সিদ্ধান্তে মোদী লোকসভা ভোটের আগে বিরোধী মহাজোট গড়ার প্রক্রিয়া ধাক্কা খাবে কি? প্রশ্নে হান্নান বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচন হোক। তারপর জোট। এখন এসব ভেবে লাভ নেই’।