তুমুল জলঘোলা হয়েছে শোভন বৈশাখীর অশোভন সম্পর্ক নিয়ে৷ একইভাবে স্ত্রী রত্নাকেও অন্য সম্পর্কের দায়ে অভিযুক্ত করেছেন শোভন৷ রত্না জনৈক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে সম্পর্কে রয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি৷
যদিও তাঁর স্ত্রী রত্নার ‘চরিত্র হনন’ করে শোভন যে অভিযোগ এনেছেন, তা নস্যাৎ করল চট্টোপাধ্যায় পরিবার। তারা বলেছেন এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন৷ রত্না এমন কোন সম্পর্কে নেই৷ তাঁরা রত্নার পাশেই আছেন৷
রত্নার সঙ্গে জনৈক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সম্পর্ক নিয়ে শোভন এবং তাঁর বন্ধু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার আঙুল তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, ওই সম্পর্কের জেরেই রত্না-শোভনের সম্পর্ক তিক্ত। বৈশাখী বৃহস্পতিবার বলেন, গত বছর সপ্তমীর দিন শোভনদার সেজদা তাঁকে জানান, রত্না অভিজিতের সঙ্গে প্রেম করছে। তুই জানিস না?’’ যা শুনে শোভনের সেজ বৌদি ছন্দশ্রী চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত বছর সপ্তমীর দিন আমি এবং আমার স্বামী মহারাষ্ট্রে জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শনে যায়। আর অভিজিৎকে বহু দিন ধরে চিনি। খুব ভাল ছেলে। রত্নাকে দিদিভাই বলে ডাকে। বৈশাখীর বিরুদ্ধে রত্না অভিযোগ করছে বলে ও পাল্টা এ সব বানিয়ে বলছে। রত্নাও ছন্দশ্রীর দেওয়া ওই তথ্যই সমর্থন করে বলেন, গত বছর সপ্তমীতে আমি লন্ডনে ছিলাম। সে দিন শোভন আর বৈশাখী একটা রিসর্টে ছিল বলে জেনেছি। ঘটনাচক্রে আমার ছেলের বন্ধুরা সে দিন তাঁদের ওখানে দেখতে পান।
বৈশাখী বলেছেন, শোভন আমার স্বামী হলে তাঁকে এ ভাবে রাস্তায় টেনে নামাতাম না। যার জবাবে রত্না বলেন, আমি কোথায় নামালাম? শোভনবাবুই তো বাড়ির বৌকে পথে নামিয়েছেন! শোভনবাবুর এই অবনতি তো বৈশাখীর জন্যই। যত দিন বেহালার বাড়িতে শোভনবাবু ছিলেন, তত দিন কি এই পরিস্থিতি ওঁর হয়েছে?
শোভনের হয়ে সাফাই গাইতে গিয়ে বৈশাখী মুখ্যমন্ত্রীর বিচক্ষণতার দিকে আঙুল তুলে বলেছেন কেউ খুব চালাকি করে দিদিকে ভুল বুঝিয়েছেন৷ শোভনের বিরুদ্ধে ওঠা কর্মে গাফিলতির অভিযোগও নস্যাৎ করেছেন, যাতে আরো ক্ষুব্দ্ধ হয়েছেন মমতা৷ অন্যদিকে শোভনের পাশে থাকতে গিয়ে রত্নার বিরুদ্ধেও যে অভিযোগে সামিল হয়েছেন তিনি, তা কার্যত ধোপে টেঁকেনি৷