একের পর এক বিজেপি কর্মী দল ছাড়ছেন। মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়াকে সহ্য করতে পারছেন না দলেরই একাংশ। সমীক্ষা জানাচ্ছে, রাজস্থানে বিজেপির তরী ডুবছেই। এমন সঙ্কট পরিস্থিতিতে রাজস্থানে নির্বাচনী প্রচারের ভার নিজের কাঁধে নিলেন মরিয়া অমিত শাহ।
প্রকৃতপক্ষে বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার ওপর অমিত শাহেরও আস্থা নেই। তাই নিজেই ২৮ নভেম্বর থেকে রাজস্থানে ঘাঁটি গাড়বেন তিনি। নজরদারই চালাবেন প্রচার অভিযানে। কথা বলবেন দলের প্রভাবশালী অথচ বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে।
প্রচার অভিযানে বেশ কিছু পরিবর্তনও করছে বিজেপি। প্রযুক্তি ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশী করে জোর দেওয়া হবে। গুরুত্ব বাড়ানো হচ্ছে বুথ ম্যানেজার ও পাতা প্রবন্ধকদের (ভোটার তালিকায় প্রতি পাতার দায়িত্বে থাকা নেতা)। বিজেপি সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশে ৪৫ লক্ষ ভোটারকে সোশ্যাল ইউনিটগুলির সঙ্গে যুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ছত্তিশগড়ে ২০ লক্ষ। সেই সূত্র ধরে রাজস্থানেও একই রকম প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে।
এদিকে ভোটের মুখে জমে উঠেছে রাজস্থানের সাট্টা বাজার। তাদেরও পাল্লা ভারী কংগ্রেসের দিকেই। বলা হচ্ছে, এবার কংগ্রেসের দখলে আসতে পারে ১২৮ থেকে ১৩০ আসন। বিজেপি পেতে পারে ৫৪ থেকে ৫৬ টি আসন। সেক্ষেত্রে জুয়াড়িরা খেলছেন কংগ্রেসের ১২৮-এর বেশী এবং বিজেপির ৫৪ টির বেশী আসন নিয়ে।