বিরোধীদের দাবিকে মান্যতা না দিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তেই সীলমোহর দিল সুপ্রিম কোর্ট। নির্বাচন কমিশন আগেই জানিয়েছিল, তারা চায় ইভিএম যন্ত্রেই ভোট হোক। এবার কমিশনের মতো সেই একই কথাই বলল সর্বোচ্চ আদালত। ‘সব ব্যবস্থাতেই কিছু না কিছু সন্দেহ থেকে যায়। তাই বলে তাকে বাতিল করে দেওয়া কোনও কাজের কথা নয়।’ এই মন্তব্য করে আজ ইভিএমের বদলে পেপার ব্যালটে বিধানসভা এবং আসন্ন লোকসভার ভোট করার দাবি খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত।
এ প্রসঙ্গে দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, ‘যে কোনও ব্যবস্থা বা মেশিনকে আদতে মানুষই চালায়। ফলে তা যেমন ভাল কাজে ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে, তেমন একইভাবে সুযোগ রয়েছে তার অপব্যবহারেরও। তাই বলে তা বাতিল করে দেওয়া যায় কি?’ এই প্রশ্ন ছুঁড়েই শেষে নয়াভূমি নামে এক বেসরকারি সংস্থার দাবি খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত।
ইভিএমে কারচুপি করা যায়, এই অভিযোগে প্রথম থেকেই সোচ্চার তৃণমূল। পাশাপাশি কংগ্রেস-সহ বাকি বিরোধীরাও এ নিয়ে বরাবরই সরব। বিরোধীদের দাবি, মানুষের মনে সন্দেহ দূর করতে ফের পেপার ব্যালটে ভোট হোক। ভারতের নির্বাচন কমিশনের কাছে এ ব্যাপারে তারা স্মারকলিপিও জমা দিয়েছিল। কংগ্রেস তার এআইসিসি সম্মেলনে এই ব্যাপারে প্রস্তাবও পাশ করেছে। কিন্তু কারচুপির অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে কমিশন।
কারচুপির অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোট হবে ইভিএমে’ই। এজন্য কেন্দ্রের দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে ভোটার ভেরিফায়েড পেপার অডিট ট্রেইল যুক্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন তৈরির বরাত দেয় তারা। এ কারণে বেসরকারি সংগঠন নয়াভূমি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি কে এম জোসেফ এবং বিচারপতি এম আর শাহর বেঞ্চ মামলার প্রথম দিনেই তা খারিজ করে দেয়। ফলে রাজনীতিবিদদের একাংশের মত, এক্ষেত্রে বিরোধীদের যুক্তিযুক্ত দাবিকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনল না আদালত।