বিজেপিকে রুখতে কংগ্রেসকে নিয়ে জোট করছে পিডিপি ও ন্যাশনাল কনফারেন্স। এই খবর পাকা হতেই জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা ভেঙে দেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। ঘটনায় ক্ষুব্ধ জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের নেতা ওমর আবদুল্লা। বিধানসভা ভাঙার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা বিচার পাইনি। রাজ্যপাল নিজেই জানিয়েছেন, টাকা ছড়ানো হয়েছে। বিধায়ক কেনাবেচা হয়েছে। রাজ্যবাসীকে এঁর ব্যাখ্যা তাঁকেই দিতে হবে। কারা টাকা ছড়িয়ে, কাদের কিনেছেন তার প্রমাণ দিন রাজ্যপাল’।
মেহবুবা মুফতির সঙ্গে জোটের জন্য তাঁর দলকে খেসারত দিতে হবে জেনেও রাজ্যের সবার্থে জোট করছেন বলে জানিয়েছেন ওমর। তাঁর কথায়, ‘সমর্থন চেয়ে চিঠি দিয়েছিল পিডিপি। আমি দলের সঙ্গে আলোচনা করে দুদিনের মধ্যে সিদ্ধান্তের কথা জানাই’। মুখ্যমন্ত্রীর পদও দিতে চেয়েছিল জোট। তিনিই রাজি হননি বলেও জানিয়েছেন ওমর।
জোটের সম্ভাবনা পাকা হওয়ার রাতে বিধানসভা ভঙ্গের পর্ব ছিল সব অর্থেই নাটকীয়। সরকার গঠনের দাবি পেশ করতে চেয়ে রাজ্যপালকে বারবার ফোনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হতে হয়েছে বলে মুফতির অভিযোগে তোলপাড় পড়ে গেছে।মুফতির আরও অভিযোগ, কোনও রহস্যজনক কারণে রাজভবনের ফ্যাক্স মেশিনও কাজ করছিল না।
মুফতির এমন অভিযোগের সাফাই দিতে গিয়ে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, ‘গতকাল মিলাদ উল নবি থাকায় সমস্ত কর্মচারিরা ছুটিতে ছিলেন। তাঁকে খাবার দেওয়ার লোক অবধি পাওয়া যায়নি। সুতরাং ফ্যাক্স আসবে কী’! অবশ্য সময়ে ফ্যাক্স এলেও তাঁর সিদ্ধান্ত বদলাত না, একথা স্পষ্ট করে দিয়ে রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক জানিয়েছেন, যেনতেন প্রকারেণ সরকার গঠনে অনুমতি তিনি দিতেন না। একেবারে ঠিক সময়ে বিধানসভা ভঙ্গের অনুমতি তিনি দিয়েছেন। যা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের হিতের জন্যই করেছেন। জোর দিয়ে বলেছেন রাজ্যপাল।