আচ্ছে দিনের বলি এবার স্টেশনের অনুসন্ধান কেন্দ্রগুলিও। শীঘ্রই স্টেশনের অনুসন্ধান কেন্দ্রগুলিকে ঠিকা সংস্থার হাতে তুলে দিচ্ছে রেল। প্রথমে ‘এ-ওয়ান’ ও ‘এ’ ক্লাস স্টেশনগুলিতে চালু হবে এই বেসরকারিকরণ। পরে অন্য স্টেশনগুলিতেও তা চালু হবে। জানা গেছে, এই অনুসন্ধান কেন্দ্রগুলিকে প্রাথমিকভাবে ৩ বছরের জন্য ঠিকা সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে।
বহুযুগ ধরে রেলের কমার্শিয়াল বিভাগের চেকিং স্টাফরা এই কেন্দ্রগুলি চালালেও এখন হঠাত করেই রেল দফতরের মনে হয়েছে, তাদের দিয়ে এই কাজ করানো ঝামেলার। পাশাপাশি, দিনে ১৪ জন কর্মী নিয়োগ করে কাজ করানোর খরচও প্রচুর। তাই ঠিকা সংস্থাকে দিয়ে কাজ করালে খরচ সাশ্রয় হবে বলেই মনে করছে রেল।
প্রসঙ্গত, তিনটে শিফট মিলিয়ে মোট ১৪ জন কর্মী সামলান এক একটি অনুসন্ধান কেন্দ্রের কাজ। ট্রেন কখন ছাড়বে, ট্রেন কতক্ষণ বিলম্বে চলছে, স্টেশনে ট্রেন ঢুকবে কখন এগুলো জানিয়ে যাত্রীদের সাহায্য করাই তাঁদের কাজ। ফলে এর সঙ্গে যাত্রীসুরক্ষার ব্যাপারটি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। তাই যাত্রীসুরক্ষার চিন্তা না করেই স্রেফ খরচ সাশ্রয়ের উদ্দেশ্যে কীভাবে অনুসন্ধান কেন্দ্রগুলিকে বেসরকারি হাতে তুলে দিচ্ছে রেল, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
একইসঙ্গে এও অভিযোগ উঠছে যে এভাবে একটি সরকারি ক্ষেত্রের বেসরকারিকরণ ঘটিয়ে আদতে ফায়দা তুলতে চাইছে কেন্দ্র। একংশের কটাক্ষ, এবার হয়ত টাকার জন্য গোটা দেশও বিক্রি করে দিতে পারে মোদী সরকার।