বুধবার আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর ঘোষণা করে দিলেন আইভরি কোস্ট ও চেলসির কিংবদন্তি তারকা দিদিয়ের দ্রোগবা। ৪০ বছরের দ্রোগবা চেলসির হয়ে ৩৮১টি ম্যাচ খেলে করেছেন ১৬৪টি গোল। চারটি প্রিমিয়ার লিগ ট্রফি রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। তার সঙ্গে রয়েছে চারটি এফএ কাপ এবং ২০১২র চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ক্লাবের হয়ে সাফল্যের পাশাপাশি তিনি দেশের হয়েও সাফল্য এনেছেন। তিনিই আইভরি কোস্টের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। ৬৫টি গোল রয়েছে তাঁর দেশের হয়ে। কেরিয়ারের শেষ ১৮ মাস তিনি কাটিয়েছেন আমেরিকার দল ফোনিক্স রাইজিংয়ের হয়ে। সেই ক্লাবের আধা মালিকান রয়েছে তাঁরই দখলে।
দ্রোগবা জানান, ‘‘যদি কেউ আপনাকে বলে আপনার স্বপ্ন অনেক বড়, তা হলে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিজের কাজের প্রতি মন দাও, খেটে সেই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত কর।”
২৩ বছর পর্যন্ত দ্রোগবা পেশাদার ফুটবল খেলেননি তেমনভাবে। ফরাসী দল গুইংঅ্যাম্প তাঁকজ় ২০০২ সালে দলে নেয়। ১৮ মাস পরে তিনি মার্সেইলে চলে যান। তার পরের বছরই ২৪ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে তাঁকে দলে নেয় চেলসি। আর সেখানেই তাঁর কেরিয়ারের সেরা সময় কাটিয়েছেন তিনি।
তিনি ২০০৬-০৭ ও ২০০৯-১০-এ প্রিমিয়ার লিগে সোনার বুট পেয়েছেন। সেখানে মোট ১০৪টি গোল রয়েছে তাঁর। ছ’বছর আগে যখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় চেলসি তখন বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে নাটকীয় ফাইনাল ম্যাচে সমতায় ফেরার গোল শেষ মুহূর্তে এসেছিল তাঁরই পা থেকে। বিশ বছরের দীর্ঘ ফুটবল কেরিয়ারে খেলেছেন অনেক ক্লাবেই। কিন্তু দ্রোগবার উপস্থিতি আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছিল চেলসির আক্রমণভাগে।
দ্রোগবা ক্লাব ফুটবলে খেলেছেন ছ’টি দেশের হয়ে। তাঁর সাফল্যের বেশিরভাগটাই এসেছে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড থেকে। দ্রোগবা চেলসিতে ফেরার আগে ছ’মাস কাটিয়েছেন শাংঘাই শেনুয়া ও দেড় বছর গালাতাসেরর সঙ্গে।
২০১৪-১৫তে চেলসির চতুর্থ প্রিমিয়র লিগ ও তৃতীয় লিগ কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে দ্রোগবার পা থেকে এসেছিল সাতটি গোল। চেলসি ছেড়েছিলেন ক্লাবের চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলহাতা হিসেবে।
দ্রোগবা শেষ খেলেছেন ৮ নভেম্বর ফোনেক্সের হয়ে। সেখানে লুসভিল সিটির কাছে তাঁর দল ১-০তে হেরে গিয়েছিল।
নতুনদের সুযোগ দেওয়ার কথা উল্লেখ করে দ্রবগা লিখেছেন, ‘আমার বিদায়ের পর আমার জায়গাটা কোনো তরুণ ফুটবলার পূরণ করবে এটাই আমি চাই। এই খেলাটা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে, অনেক কিছু শিখেছি। এখন সময় এসেছে ফুটবলকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার।’