মহানগরীর মহানাগরিক হিসাবে পছন্দের তালিকায় এক নম্বরে থাকা ফিরহাদ হাকিমের নাম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে সম্মতি জানাল তৃণমূলের পুর পরিষদীয় দল। মমতা তাঁদের বলেন, ‘দলনেতা করা হয়েছে ববি হাকিমকে। তিনি মেয়র হচ্ছেন। তবে মেয়র হতে গেলে কতকগুলো নিয়মের মধ্যে তাঁকে নির্বাচিত হতে হবে। কলকাতা পুরসভার তৃণমূলের কাউন্সিলাররা তাঁকে নির্বাচিত করবেন। ভোট হবে’।
আলিপুরের উর্তীর্ণতে কাউন্সিলারদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ‘মেয়র পারিষদে আপাতত যারা আছেন তাঁরা থাকবেন’। কাউন্সিলারদের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, ‘ঠিকঠাক কাজ করবেন। আমি আরও ভালো কাজ চাই। দু-একজন মেয়র পারিষদ পরিবর্তন করব। অফিসারেরা নিজেদের পদে থেকেই কাজ করবেন। কাউকে সরানো হচ্ছে না’।
এদিনের বৈঠকে পদত্যাগী মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়েরও উপস্থিত থাকার কথা ছিল। মমতা বলেন, ‘শোভনের এই বৈঠকে আসার কথা ছিল। হয়তো ঠিকমতো খবর দেওয়া হয়নি’। এরপর উপস্থিত কাউন্সিলারদের কাছে মমতা জানতে চান ‘আপনারা কাকে দলনেতা ও মেয়র চান, নাম প্রস্তাব করুন’। মেয়র পারিষদ সদস্য অতীন ঘোষ উঠে দাঁড়িয়ে ফিরহাদ হাকিমের নাম প্রস্তাব করেন। সমস্বরে কাউন্সিলাররা সমর্থন করেন সেই নাম। হাতও তোলেন প্রত্যেকে। একইভাবে ডেপুটি মেয়র পদে পছন্দের নাম জানতে চান মমতা। টালিগঞ্জের ৯৭ নম্বর অয়ার্ডের কাউন্সিলার মিতালি ব্যানার্জি ডেপুটি মেয়র হিসাবে অতীনের নাম প্রস্তাব করেন। সমর্থন জানান সবাই। মেয়র ও ডেপুটি মেয়র পদে এই নাম দুটি নিয়ে কারও কোনও আপত্তি আছে কিনা তাও জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সমস্বরে জবাব মেলে – না। দলনেত্রীর পাশে তখন বসেছিলেন কলকাতার হবু মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ডেপুটি মেয়র নির্বাচিত হওয়া মাত্র অতীনকেও মঞ্চে ডেকে নেন মমতা। আগামী ৩ ডিসেম্বর হবে মেয়র নির্বাচন। সেই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও এদিন জারি করা হয়েছে।
এরপর মমতা সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমি আপনাদের নিয়ে গর্বিত। আপনারা এক হয়ে কাজ করছেন। দলকে মজবুত রেখেছেন। আপনারাই সরকারের মুখ। সেটা সবসময় মাথায় রাখবেন’।