নির্দিষ্ট কোনও দপ্তরের মন্ত্রীকে কেন অন্য দপ্তরের প্রশ্ন করা হচ্ছে? দলের মন্ত্রী-বিধায়কদের প্রশ্নোত্তরে এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্রেজারি বেঞ্চে উপস্থিত মন্ত্রী ও বিধায়কদের মমতা বলেন, ‘আই অ্যাম ভেরি সরি টু সে, যে মন্ত্রী উত্তর দিচ্ছেন তাঁর দপ্তরের প্রশ্নই যেন তাঁকে করা হয়। অন্য দপ্তরের প্রশ্ন যেন কেউ না করেন। মন্ত্রীও যেন নিজের দপ্তরের বাইরে অন্য দপ্তরের উত্তর না দেন।’
ডায়মন্ডহারবারে ইলিশ বিক্রয় কেন্দ্র নিয়ে প্রশ্ন করতে গিয়ে তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার ওই অঞ্চলের রাস্তা ও জেটির সমস্যার কথা তোলায় ঘটনার সূত্রপাত হয়। মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিন্হা ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজার অঞ্চলের রাস্তা ও জেটির সংস্কার নিয়ে উত্তর দিতে গেলে মুখ্যমন্ত্রীর অসন্তোষের মুখে পড়েন। মমতা চন্দ্রনাথের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জেটি নিয়ে প্রশ্নের জবাব আপনি দেবেন না। সেচ দপ্তর দেবে। আমি বিধায়কদের বলছি, যে মন্ত্রী উত্তর দিচ্ছেন তাঁকে শুধু তাঁর দপ্তরের প্রশ্নই করবেন। কোন প্রশ্ন কোন মন্ত্রীর দপ্তরের আওতায়, সেই বিষয়ে বিধায়কদের সচেতন থাকা প্রয়োজন।’
এর পরেও তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক উত্তর ২৪ পরগনার একটি মৎস্য বিক্রয় কেন্দ্রের কাছে রাস্তা খারাপ নিয়ে মৎস্যমন্ত্রীকেই অনুযোগ করেন। তাঁকেও বকুনি দেন মমতা। তিনি পার্থকে বলেন, ‘রাস্তা যদি খারাপ থাকে পঞ্চায়েত, পুরসভাকে দেখতে হবে। রাস্তা কি মৎস্যমন্ত্রী করে দেবেন? নিজেদেরও উদ্যোগী হতে হবে। বিডিও, পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বলুন।’ আইটিআই নিয়ে কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর উত্তরেও সংযোজনী দেন মমতা। কারিগরি শিক্ষায় আরও নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।