‘প্রধানমন্ত্রী পদের গরিমা নষ্ট করছেন নরেন্দ্র মোদী’। এভাবেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন প্রাক্তণ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। মধ্যপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচার শুরুর আগে রাফাল চুক্তি নিয়েও দূর্নীতির অভিযোগ উসকে দিলেন তিনি। বলেন, ‘রাফাল নিয়ে সবাই সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি তুলেছেন। কিন্তু মোদী সরকার রাজি হচ্ছে না। নিশ্চিত কিছু গণ্ডগোল আছে’।
মধ্যপ্রদেশ ভোটের আর এক সপ্তাহও বাকি নেই। তার আগে ইন্দোরে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে মোদী সরকারকে একহাত নেন মনমোহন। নোটবন্দীর সিদ্ধান্তকে ‘লুঠ’ আখ্যা দিয়ে মনমোহন বলেন, ‘সংসদে অনেক আগেই বলেছিলাম নোটবন্দী সংগঠিত লুঠের অঙ্গ’। মনমোহনের অভিযোগ, ‘যত্নের সঙ্গে ভাবনাচিন্তা করে সুসংহতভাবে দেশের গণতন্ত্র দূর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন মোদী’। তাঁর বক্তব্য, ‘সংসদ এবং সিবিআইয়ের মান অধোগামী’। তাছাড়া, ‘আইনের শাসনের ওপর আঘাত আসছে’। এই অবস্থার যদি পরিবর্তন না-হয়, তাহলে ইতিহাস বর্তমান প্রজন্মকে ক্ষমা করবে না’।
মোদী সরকারের সঙ্গে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিরোধ নিয়েও তোপ দাগতে ছাড়েননি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আরবিআই গভর্নরের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর ঐক্যসাধন জরুরী। তাঁদের সমন্ময় রেখে কাজ করতে হয়’। তাঁর আক্ষেপ, ‘সেই সম্পর্ক আজ কোথায় নেমে গিয়েছে! আরবিআই আইনেও গভর্নেরের দায়িত্ব উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে’।
জিএসটি নিয়ে তোপ দেগে বলেন, ‘কোনও রকম প্রস্তুতি ও বিশেষ পরিকল্পনা ছাড়াই জিএসটি চালু করে দেওয়া হয়েছে’। মোদীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিয়েও কটাক্ষ করেন মনমোহন। বলেন, ‘গত সাড়ে চার বছরে দেশের মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেন নি প্রধানমন্ত্রী। দেশে ২ কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি সরকার’।
শিবরাজ সিং চৌহানের সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে ব্যাপমকে মধ্যপ্রদেশের মহাদূর্নীতি ‘আখ্যা’ দিয়েছেন মনমোহন। তাঁর অভিযোগ, ‘রাজ্যে কৃষকদের দুর্দশা অন্য রাজ্যগুলির থেকে অনেক বেশী’। সেই সঙ্গে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈমাত্রেয় আচরণের অভিযোগও এনেছেন মনমোহন। তাঁর দাবি, কেন্দ্রে ইউপিএ সরকার থাকাকালীন কখনও মধ্যপ্রদেশ সরকারকে বঞ্চনার শিকার হতে হয়নি। এর সাক্ষী শিবরাজ সিং নিজেই’।