মাত্র এক বছর আগেই উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছিল গেরুয়া ঝড়। কিন্তু ১২ মাসেই পাল্টে গেল ছবিটা। উত্তরাখণ্ডের পুরসভা নির্বাচনে প্রায় ধুয়ে গেল বিজেপি। অপ্রত্যাশিতভাবে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যটিতে দূর্দান্ত ফল করেছে কংগ্রেস।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী রাজ্যের ৮৪টি পুরসভা নির্বাচনের ফল জানা গিয়েছে, তার মধ্যে মাত্র ৩৪টি পুরসভা দখল করতে পেরেছে বিজেপি। বাকি ৫০টি পুরসভার দখল নিয়েছেন বিরোধী কংগ্রেস এবং নির্দল প্রার্থীরা। ৭ টি মেয়র পদের নির্বাচনে ৩ টিতে জয়ী কংগ্রেস, বিজেপির ঝুলিতে এসেছে ৩ টি আসন। একটি আসনে এগিয়ে নির্দল প্রার্থী।
বিজেপির সবচেয়ে খারাপ ফল হয়েছে মুসৌরিতে। নির্দল প্রার্থীদের পাশাপাশি মুসৌরির দখল নিয়েছে কংগ্রেস। ধুয়ে গেছে বিজেপি। উত্তরকাশী জেলাতেও মোট ৩৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৫টি ওয়ার্ড জিতেছেন নির্দলেরা। দেহরাদূন পুরসভার ৩৪টি ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীদের সঙ্গে কংগ্রেসের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। সেখানে কংগ্রেস জিতেছে ১৫টি আসন। অন্য দিকে বিজেপি পেয়েছে ১৪টি ওয়ার্ড। নির্দল প্রার্থীরা জিতেছেন ৫টি আসন। উত্তরাখণ্ডের শহুরে এলাকাতেই ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। চম্পাবতের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুরসভার চেয়ারম্যান হবেন কংগ্রেস প্রার্থী। সেখানে কংগ্রেসের বিজয় বর্মা পেয়েছেন ১,৩১৫টি ভোট। নির্দল প্রার্থী প্রকাশ পাণ্ডেকে ভোট দিয়েছেন ৯১৪ জন। কিন্তু ৯০৪টি ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি প্রার্থী।
উনিশের লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির শক্তিপরীক্ষার লড়াই হিসেবে ধরা হচ্ছিল এই পুর নির্বাচনগুলিকে। সেখানে যে গেরুয়া শিবির ডাহা ফেল সেটা স্পষ্ট। তাই লোকসভা ভোটের আগে নতুন করে চিন্তা বাড়ল মোদীর।
ফল প্রকাশের পর প্রদেশ কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট প্রীতম সিং বলেন, ‘এই ফলাফল উত্তরাখণ্ডে বিজেপির অহংকার চূর্ণ করল। টাকা এবং প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করেও কংগ্রেসকে হারাতে পারেনি গেরুয়া শিবির। ২০১৯ লোকসভার আগে এটা আমাদের বড় জয়’।