দীর্ঘদিন পর আবারও পুরুলিয়ায় রাজনৈতিক সভা করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সেই সভা ঘিরে ইতিমধ্যেই সাজো সাজো রব গোটা পুরুলিয়ায়। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ব্যাপক জমায়েত করে কার্যত ঐতিহাসিক সভার রূপ দিতে জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু করেছে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলও।
রবিবার পুরুলিয়া শহরের একটি বেসরকারি হোটেলে জেলা তৃণমূলের বৈঠকে তৃণমূল নেত্রীর সভার আগে জেলা ও ব্লক নেতাদের বুথে বুথে গিয়ে প্রচারের নির্দেশ দেন দলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। মুখ্যমন্ত্রীর বলরামপুরের সভায় সর্বকালের সেরা জমায়েত করে লোকসভা ভোটের আগে নিজেদের শক্তি প্রদর্শনও করতে চাইছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
মুখ্যমন্ত্রীর ওই সভায় সর্বকালের রেকর্ড সংখ্যক জমায়েত করতে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। গতকাল জেলা তৃণমূলের বর্ধিত কমিটির বৈঠক হয়। জেলা পরিষদের সদস্যদের পাশাপাশি এমপি, এমএলএ, ব্লক সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ ব্লকের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও শাখা সংগঠনের জেলা সভাপতি ও তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রে থেকে পাওয়া খবর, বৈঠকে ঠিক হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর ওই সভাকে ঘিরে বুথে বুথে এবং অঞ্চল ও ব্লক স্তরেও ব্যাপক প্রচার করা হবে। প্রচারের কৌশলও ঠিক হয়েছে। প্রতিটি এলাকায় মাইকিং এবং দেওয়াল লিখনের উপর জোর দেওয়া হবে। তবে প্রচারের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় প্রতিটি বুথ থেকে রেকর্ড সংখ্যক তৃণমূল কর্মী সমর্থক ও সাধারণ মানুষকে নিয়ে আসার বিষয়ে। বাস ও অন্যান্য ছোট গাড়ি কোথায় কীভাবে বুকিং করা হবে এবং কোন এলাকায় কত বাস লাগবে সেই বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পুরুলিয়া জেলার নেতা সুশান্ত মাহাতো বলেন, জেলা সভাপতির নির্দেশ মতো শাখা সংগঠনগুলিও মুখ্যমন্ত্রীর সভার বিষয়ে এলাকায় এলাকায় প্রস্তুতি সভা করবে। রাস্তা, ঘাটে মাইকিং ও দেওয়াল লিখনের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও তৃণমূল যুব কর্মীরা বলরামপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সভার প্রচার করবে। পুরুলিয়ার তৃণমূলের সর্বস্তরের কর্মী সমর্থকরা তৃণমূল নেত্রীর বার্তা শোনার জন্য এখন থেকেই মুখিয়ে আছেন।