কেষ্টর খোল-খঞ্জনীর আওয়াজে চমকে গেল বিজেপি! বদলে গেল রথযাত্রার সূচী। ৫ ডিসেম্বর বীরভূমের বদলে ৭ ডিসেম্বর কোচবিহার থেকে রথযাত্রা শুরু করবে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, ৫ ডিসেম্বর বিজেপির রথযাত্রা শুরুর দিনই সাড়ে ৩ হাজার খোল আর সাড়ে ৭ হাজার খঞ্জনী নিয়ে বিজেপির শেষযাত্রার ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তারপরেই বিজেপির রথযাত্রার দিন পিছিয়ে দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে, বীরভূমে কি অনুব্রত মণ্ডলকে ভয় পায় বিজেপি নেতৃত্ব? তা-ই কি রথযাত্রার সূচি বদল?
শনিবার সকালে রথযাত্রার এই সূচী বদলের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে, পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের প্রচারে ব্যস্ত থাকায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ৫ ডিসেম্বর বীরভূমে আসতে পারবেন না। তাই পিছিয়ে দেওয়া হল রথযাত্রা শুরুর দিন। ৭ ডিসেন্বর কোচবিহার থেকে শুরু হবে রথযাত্রা। তারপর ৯ ডিসেম্বর গঙ্গাসাগর থেকে এবং ১৪ ডিসেম্বর তারাপীঠ থেকে যাত্রা করবে বিজেপির রথ।
অবশ্য এই ‘অজুহাত’-এ চিঁড়ে ভিজছে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বীরভূম তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। তারওপর অনুব্রত মণ্ডলের জেলা। রামজয়ন্তীর পাল্টা হনুমান জয়ন্তী দিয়েই অনুব্রত বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপির চাল তিনি কীভাবে ভেস্তে দিতে পারেন। তাই রথযাত্রা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না বিজেপি। কারণ, বীরভূম থেকে রথযাত্রার শুরু। আর যাত্রার শুরুতে গণ্ডগোল হলে বাকি দুটি রথযাত্রাতেও তার প্রভাব পড়বে। তাই সূচী পিছিয়ে বীরভূমের বদলে কোচবিহার থেকে রথযাত্রার সূচনা করছে বিজেপি।




