গতকাল, বৃহস্পতিবার ১০০ বছরে পা দিয়েছেন সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসংঘের প্রধান উপদেষ্টা ‘বড়মা’ বীণাপাণি দেবী। বড়মার জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এবং তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গাইঘাটায় গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখানেই অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে বড়মাকে রাজ্যের সর্বোচ্চ সম্মান বঙ্গবিভূষণে ভূষিত করেন তিনি৷ তবে এখানেই শেষ নয়। মতুয়া সম্প্রদায়ের জন্য একগুচ্ছ উপহারও ঘোষণা করলেন মমতা।
এবার মতুয়া সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা হরিচাঁদ ঠাকুরের সম্মানে তৈরি হবে হরিচাঁদ–গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঠাকুরনগরে আগেই কলেজ তৈরি হয়েছে। এবার এলাকার ছেলেমেয়ের উচ্চশিক্ষার সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয় হবে।’ গাইঘাটা ব্লকের চাঁদপাড়ায় ৮.৮ একরের একটি জমি শিক্ষা দফতরকে দেওয়া হয়েছে হরিচাঁদ–গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে। গতকাল থেকেই যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে শিক্ষা দফতরের একটি সাইনবোর্ড প্রকল্প এলাকায় লাগিয়ে দেওয়া হয়, জেলাশাসককে সেই নির্দেশও দেন তিনি৷
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘মতুয়া ঠাকুরবাড়ির দুটি গেট তৈরি করে দেবে রাজ্য পর্যটন দপ্তর। এলাকায় আলো লাগিয়ে, পুকুর বাঁধিয়ে ঠাকুরনগরের সৌন্দর্যায়নও করে দেওয়া হবে।’ আগামী ২০ দিনের মধ্যে সৌন্দর্যায়নের কাজ সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেন তিনি। বীণাপাণি দেবীকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করার পর মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘মা’র এই জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি খুশি৷ আমি চাই ঠাকুরনগরে ঠাকুরবাড়ি আন্তর্জাতিক মানচিত্রে উজ্জ্বল হয়ে উঠুক৷ মতুয়া সমাজের বিকাশ হোক৷’
রাজ্য সরকার আগেই মতুয়া সঙ্ঘ বিকাশ পর্ষদ এবং নমঃশূদ্র বিকাশ পর্ষদ তৈরি করেছে। পীড়িত এবং উদ্বাস্তুদের জন্য মতুয়াদের আন্দোলন সম্পর্কে সবাইকে জানাতে ঠাকুরনগরকে আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চায় রাজ্য সরকার। তাই এই নতুন বিশ্ববিদ্যালয় যে সেই কাজকেই আরও কিছুটা তরান্বিত করবে, তা বলাই বাহুল্য। মমতার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন গোটা মতুয়া সম্প্রদায়।