১৫ বছরের বর্ণময় ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চলেছেন ইংলিশদের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। থ্রি লায়নদের জার্সি গায়ে নিজের ১২০ তম ম্যাচ খেলার আগে তাই আবেগে আপ্লুত হলেন ওয়েন রুনি। এই সম্মান দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানালেন দলের কোচ এবং সদস্যদের। আর রুনিকে বিদায় জানাতে পেরে নিজেদের ধন্য ভাবছেন সাউথগ্যাট এবং তার শিষ্যরা। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করবেন ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ এই গোলদাতা। থ্রি লায়ন্সদের হয়ে ওয়েম্বলিতে ফিরতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবছেন প্রাক্তন ম্যানইউ তারকা।
‘ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন আমাকে এই ম্যাচের জন্য মনোনীত করায় সম্মানিত বোধ করছি। দর্শক এবং আমাকে যারা সমর্থন করেছেন, তাদের ধন্যবাদ জানানোর সুযোগ পাচ্ছি’— বলেন রুনি। ২০০৩ সালে থ্রি লায়ন্সের জার্সি গায়ে অভিষেক হওয়া রুনি দুই বছরের মধ্যে এটি হতে যাচ্ছে রুনির প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সর্বশেষ রাশিয়া বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে খেলেছেন এই ফরোয়ার্ড।
ক্লাব ফুটবলে ইংল্যান্ড ছেড়ে চলতি মরশুমে তিনি পাড়ি দিয়েছেন মার্কিন মুলুকে। মেজর সকার লিগ ক্লাব ডিসি ইউনাইটেডের হয়ে ইতিমধ্যেই ২১ ম্যাচে তাঁর নামের পাশে জুড়ে গিয়েছে ১২টি গোল। এমন অবস্থায় ইংল্যান্ড ফুটবলে ববি চার্লটনের যোগ্য উত্তরসূরী বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদায়ী ম্যাচ খেলতে পারাটা আমার কাছে অত্যন্ত সম্মানের। পুরনো সতীর্থ, কোচিং স্টাফ এবং কোচ সাউথগেটের সঙ্গে ফের একবার ড্রেসিংরুম শেয়ার করতে পারাটা অত্যন্ত আনন্দের।
আনুষ্ঠানিক বিদায়ের ব্যবস্থা করতে ইংলিশ ফুটবল সংস্থার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে রুনি বলেছেন, ‘যিনি দেশের জন্য ভূমিকা রেখেছেন, তার জন্য উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক। আশা করছি, ভবিষ্যৎ ফুটবলারদের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেবে ফুটবল সংস্থা।’
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে রুনির হাতে বেঁধে দেওয়া হবে আর্মব্যান্ড৷ এমনটাই জানিয়েছেন ইংল্যান্ড কোচ৷ রুনিকে দলে নেওয়া নিয়ে কারোর কোনও আপত্তি ছিল না বলে জানান সাউথগেট৷ তিনি বলেন, ‘এটা ওয়েন এবং দেশের জন্য খুব ভালো৷ দেশের হয়ে ওর সর্বাধিক গোল রয়েছে৷ সর্বাধিক ম্যাচের খেলার ওর দখলে হতে পারত৷ সুতরাং এই সম্মানটা ওর প্রাপ্য৷’ শেষবার জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নামার প্রস্ততিও শুরু করে দিয়েছেন রুনি৷