‘বাম সরকারের রেখে যাওয়া দেনা শুধতে না হলে আজ বাংলাই গোটা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারত।’ বুধবার সন্ধ্যায় নিউটাউনের বিশ্ববাংলা তোরণেরও উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্নের সভাগৃহ থেকে বারুইপুর জেল এবং বারাসত ভবন–সহ একাধিক সরকারি ভবনেরও উদ্বোধন করেন তিনি।
বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে বিরোধীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘আগের বামফ্রন্ট সরকার আমাদের মাথায় কয়েক হাজার কোটি টাকার দেনা চাপিয়ে দিয়ে গিয়েছে। তা শোধ করেও আমরা একাধিক জনকল্যানমূলক কাজ করেছি। তাও এত কম সময়ে। গোটা দেশে আর কোথাও এত কাজ হয়নি। চলতি আর্থিক বছরেও আমাদের ৪৮ হাজার কোটি টাকা দেনা শোধ করতে হচ্ছে। সেটা না করতে হলে বাংলাই গোটা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারত।’
দুর্গাপুজো থেকে ছটপুজো-গত দু’মাসে গোটা বাংলা মেতে উঠেছিল আনন্দ উৎসবে। এই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘বাংলাকে হিংসে করে লাভ নেই। উৎসবকে পাল্লা দেবে উৎসবই। গোটা বিশ্বের মধ্যে উৎসবে এগিয়ে বাংলাই’। পাশপাশি পুলিশের প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশ দুর্গাপুজো, দীপাবলি থেকে ছট পুজো অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সামলেছে’।’
এরপরই দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক নিয়ে বক্তব্য রাখেন মমতা। স্কাইওয়াকে পান-গুটখার পিক ফেলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক তৈরি হয়েছে। কিন্তু উদ্বোধনের পরদিনই সেখানে কেউ পানের পিক ফেলেছে। এটা অত্যন্ত কুৎসিত ব্যাপার। এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষকেই সচেতন হতে হবে।’
সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘এ রাজ্যে অনাহারে কেউ মারা যায়নি। প্রত্যেকের কাছে আমরা দু’টাকা কিলো দরে চাল পৌঁছে দিয়েছি। রাজ্যের পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলিকে স্পেশাল প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে। বাংলায় কৃষকদের আয় বেড়েছে ৩ গুণ। অথচ দেশের অন্যান্য অংশে ২০২২ সালে কৃষকদের আয় বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে’।