কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে শিল্পের জন্য বেশী জমি নিলে এবার দামেও ছাড় দেবে রাজ্য। প্রশাসনের হাতে যে ল্যান্ড ব্যাঙ্ক আছে, সেখানে যাতে শিল্পসংস্থাগুলি বড় মাপের জমি নেয়, তার জন্য ১৫ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত জমির দামে ছাড় চলছে। জমি ‘সেল’-এর তালিকায় আপাতত আছে ফালাকাটা, রেজিনগর এবং ইসলামপুর। এখানে কতটা সাড়া মিলছে, তার উপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে দপ্তর।
কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান বিপ্লব রায়চৌধুরী বলেন, আমরা এখনও পর্যন্ত ১৫টি এস্টেটকে চিহ্নিত করেছি, যেখানে এখনও খানিকটা করে জমি ফাঁকা আছে। সেই তালিকায় আছে কল্যাণী, বোলপুর, দুর্গাপুর, বাউরিয়া, সন্তোষপুর, অশোকনগর, রায়গঞ্জ, বেহালা, গড়িয়া সহ কয়েকটি জায়গা। যাতে এই এস্টেট বা পার্কগুলিকে উদ্যোগপতিদের কাছে তুলে ধরা যায়, তার জন্য তাঁরা চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বিপ্লবের কথায়, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য রাজ্যে শিল্পের বহর বাড়ানো। সেখানে যদি শিল্পপতিরা দামে ছাড় চান, তাহলে ফাঁকা জায়গা রেখে দামে গোঁ ধরে রাখার অর্থ হয় না’।
জমির দামে ছাড় দেওয়ার জন্য এই পার্কগুলির মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে জলপাইগুড়ির আমবাড়ি ফালাকাটা, উত্তর দিনাজপুরের ইলুয়াবাড়ি এবং মুর্শিদাবাদের রেজিনগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটকে। এর মধ্যে আমবাড়ি ফালাকাটায় রয়েছে ১২০টি প্লট, যেখানে জমির দাম কাঠা পিছু দেড় লক্ষ টাকা। প্লটগুলি রয়েছে পাঁচ কাঠা থেকে ২০ কাঠার মধ্যে। দপ্তরের কর্তারা জানাচ্ছেন, ৩০ কাঠার মধ্যে জমি নিলে ছাড় মিলবে ১৫ শতাংশ। ৬০ কাঠার মধ্যে নিলে ছাড়ের হার ২৫ শতাংশ। তার চেয়ে বেশি জমিতে ছাড় ৩৫ শতাংশ। রেজিনগরের শিল্পতালুকেও রয়েছে প্রায় ৩০০টি প্লট। এখানে জমির দাম ও ছাড় ফালাকাটার ধাঁচেই। সব ক্ষেত্রেই ৯৯ বছরের জন্য জমি লিজ দেবে রাজ্য। ইসলামপুরের এস্টেটে ৩০ বছরের জন্য জমি দেওয়া হবে, কাঠা পিছু দাম ৭৮ হাজার টাকা। এখানে ৩০ কাঠা পর্যন্ত জমিতে ২০ শতাংশ, ৬০ কাঠা পর্যন্ত জমিতে ৩০ শতাংশ এবং তার উপর জমি নিলে ৩৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড।