এবার মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এলে বন্ধ করে দেওয়া হবে বিভিন্ন সরকারি অফিসে প্রচলিত রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ বা আরএসএস-র সব শাখা। নিজেদের নির্বাচনী ইস্তাহারে এই প্রতিশ্রুতি দিল কংগ্রেস।
শনিবারই কংগ্রেসের তরফে মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়েছিল, যার পোশাকি নাম ‘বচনপত্র’৷ এই বচনপত্রের ৮০ নম্বর পাতায় সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা আছে যে, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে কংগ্রেস সরকারি সব অফিসে বর্তমানে প্রচলিত আরএসএস-র সব শাখা বন্ধ করে দেবে৷
একই ভাবে নিজেদের সরকারি ডিউটির ফাঁকে আরএসএস-র শাখার সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য সুযোগ পাওয়া সরকারি কর্মীদের সব সুযোগও প্রত্যাহার করে দেওয়া হবে৷ এই বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরেই রবিবার সারা দেশে প্রবল রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়৷ রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথ, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংয়ের উপস্থিতিতে এই ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়।
বিজেপির পক্ষ থেকে কংগ্রেসকে সরাসরি আক্রমণ করে তাদের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে৷ সম্বিত পাত্র, সুব্রহ্মণ্যম স্বামী ও মুখতার আব্বাস নকভির মতো বিজেপি নেতারাও সরাসরি আক্রমণ করেন কংগ্রেস ও তাদের সভাপতি রাহুল গান্ধীকে৷
অন্যদিকে পি চিদম্বরমের মতো প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দলের ঘোষণাপত্রকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘আরএসএস একটি রাজনৈতিক সংগঠন৷ কোনও সরকারি অফিসে এর কোনও শাখা থাকার কথা নয়৷ কোনও সরকারি কর্মীও সংশ্লিষ্ট অফিসে থাকাকালীন এই সংগঠনের হয়ে কাজ করতে পারেন না৷ স্বভাবতই কংগ্রেসের বচনপত্রে কোনও ভুল নেই৷’
স্বাভাবিক ভাবেই এর পরে বিবৃতির লড়াই আরও তীব্র হয়েছে দুই শিবিরের মধ্যে৷ পাশাপাশি, এই বিতর্কের ফলে নতুন মাত্রা পেয়েছে মধ্যপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে শিবরাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে শাসন ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া কংগ্রেস৷ প্রসঙ্গত, ১১২ পাতার ইস্তেহারে আরএসএসকে নিয়ে আরো অনেক কথাই বলেছে কংগ্রেস। আসলে কংগ্রেস–আরএসএসের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের পুরনো।