দেশের অর্থনীতির উপর নোটবন্দী ও জিএসটি-র প্রভাব নিয়ে প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের মন্তব্য হজম করতে পারেনি কেন্দ্র সরকার। তার প্রমাণ মিলল অর্থমন্ত্রী জেটলির বক্তব্যে। মুম্বইয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার শতবর্ষ অনুষ্ঠানে এক ভিডিয়ো ভাষণে নাম না করে রাজনকে তোপ দেগে জেটলি বলেন, ‘সমালোচক ও নিন্দুকরা সব সময়ই থাকবে এবং তারা বলবে এটা (জিএসটি) দেশের বৃদ্ধি স্লথ করে দিয়েছে। কিন্তু, ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির গড় হার কত ছিল? ৫ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশ। সেই তুলনায় জিএসটি পরবর্তী বৃদ্ধির হার অনেক বেশি’।
রাজন বলেছিলেন, ‘নোট বাতিল এবং তার প্রভাব কাটতে না-কাটতেই সারা দেশে নতুন পরোক্ষ কর ব্যবস্থা জিএসটি শুরু করার ফলে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ঘা খেয়েছিল’। তারই পাল্টা দিয়ে জেটলি বলেন, ‘জিএসটি শুরুর পর মাত্র দু’টি ত্রৈমাসিকে সাময়িক একটু সমস্যা তৈরি হয়েছিল, যার প্রভাবে শিল্পোৎপাদন ও ব্যবসা সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হলেও হতে পারে। কিন্তু, তার পরই জিএসটির প্রভাব কেটে যায়’।
২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর থেকে সারা দেশে পুরোনো পাঁচশ ও হাজার টাকার নোট বাতিল হওয়ার পর ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে স্বাধীনোত্তর ভারতে পরোক্ষ কর ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সংস্কার, একক পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) ব্যবস্থা, শুরু হয়। নতুন কর ব্যবস্থায় বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা কঠিন সমস্যার মুখে পড়েন এবং তাঁদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে অভিযোগ।