বিজেপির রথযাত্রা শুরুতেই আটকে দেবেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অস্ত্র, খোল-খঞ্জনি আর কর্তাল। এজন্য ইতিমধ্যেই ৪০০০ খোল আর ৮০০০ জোড়া খঞ্জনি এসে গেছে নবদ্বীপ ও বহরমপুরে। দলের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে দুই মন্ত্রীকে পাশে বসিয়ে দলের নেতাদের এমনটাই জানিয়েছেন অনুব্রত।
৫ ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য সভাপতি অমিত শাহ তারাপীঠ থেকে রথযাত্রা করবেন। সেই নিয়ে অনুব্রত বলেন, ‘ওঁদের রথে ঘোড়া না হাতি কী থাকবে জানি না, তবে মানুষ থাকবে না’। আর রথযাত্রা রুখতে কী করা হবে? বীরভূম জেলা সভাপতি জানাচ্ছেন, ওইদিন ডাকবাংলো মাঠ থেকে জেলার ১৯টি ব্লক ও বর্ধমানে তাঁর পর্যবেক্ষণে থাকা ৫টি ব্লকের কীর্তনের দলকে একটি করে খোল ও দুটি করে খঞ্জনি দেওয়া হবে। ওইদিন নগর সংকীর্তন করবেন তাঁরা।
বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে অনুব্রত বলেন, ‘আগামী ১৯ জানুয়ারি মমতা ব্যানার্জির বিগ্রেডে ৭ লক্ষ লোক পাঠাতে হবে। এ নিয়ে বুথে বুথে ব্যাপক প্রচার চালান’। নবনির্মিত পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের উদ্দেশে বলেন, ‘চুরি না করে মানুষের জন্য উন্নয়ন করুন, তা হলে ভবিষ্যতে পদে না থাকলেও লোকে দেখে বলবে মানুষটা প্রচুর কাজ করেছে, তা না হলে বলবে ওই দেখো চোর যাচ্ছে, সেটা শুনতে ভাল লাগবে না’। এরপরেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনে পড়ে থাকা উর্বর জমি পাঁচন দিয়ে সোজা করুন, তারপর চাষ করুন, দেখুন ফল ভাল হবে। রাত আড়াইটে অবধি আমার ফোন খোলা, চিন্তা নেই। বোলপুর লোকসভায় সাড়ে তিন লাখ, বীরভূম লোকসভায় তিন লাখ ভোটে জিততে হবে’।