বিজেপি জেনে রেখো, তোমরা আর কোনও দিনও ক্ষমতায় আসবে না। মানুষ তোমাদের চিনে নিয়েছে। এবারই তোমাদের শেষবার। স্পষ্ট বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভানেত্রী বলেন, যে দুটো ফেজ হয়ে গিয়েছে, তাতে তোমরা এপাশ-ওপাশ-ধপাস হয়ে গিয়েছ। বাকি যে পাঁচটা ফেজ হবে, তার জন্য বুক দুরু দুরু করছে এখন থেকেই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এবারের লড়াইটা দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার। এই লড়াইটা আমাদের জিততে হবে। ইসবার ৪০০ পার, বলেছিলেন প্রচারবাবু। আমি বলেছিলাম, ইসবার পগার পার। ইসবার ২০০ ভি নেহি হোগা পার। আর যদি আমার এই কথাগুলো সত্যি হয়, খাওয়াবেন তো মুর্শিদাবাদ-মালদহের মানুষ?
ণমূলনেত্রী বলেন, মনে রাখবেন, আদৌ স্বস্তিতে নেই বিজেপি। আর এক মাস বাকি। তারপর ঢাক বাজাবে ঢাকি। বিজেপির বিসর্জন চলবে সারা দেশ জুড়ে। কারণ ‘বিজেপি হটাও দেশ বাঁচাও’ আওয়াজ উঠেছে এবার। হাওয়া কিন্তু রটে গিয়েছে। দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মুম্বই, বিহার, রাজস্থান, চেন্নাই, কেরালা, বাংলা বলছে বিজেপি হটাও দেশ বাঁচাও। বলছে, বিজেপি হটাও ধর্ম বাঁচাও, জাত বাঁচাও। বলছে, বিজেপি হটাও একসাথ মে রহো।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিজেপির জন্য দেশ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। জাতি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, ধর্ম বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এনআরসি-সিএএ করে ওরা সবাইকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেবে। এই যে জিনিসপত্রের দাম কত বেড়েছে, প্রচারবাবুর মুখে তো কোনও কথা নেই! মোদিবাবু আমাকে যত ইচ্ছা গালাগালি দেন, আমার গায়ে ফোসকা পড়বে না। কিন্তু আপনাকে জবাব দিতে হবে, ১৫ লাখ দেবেন বলেছিলেন, কেন দেননি। বেকারদের ২ কোটি চাকরি দেবেন বলেছিলেন, কেন দেননি। কেন কৃষকরা ন্যূনতম সাপোর্ট পাচ্ছেন না, আপনাকে জবাব দিতে হবে, কেন অত্যাবশ্যক ওষুধের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন তা বলতে হবে। আমরা বিনা পয়সায় রেশন দেব, আর তুমি শুধু ভাষণ দেবে, তা আর হবে না।