দুর্গাপুজোর বিসর্জনের মতো কালীপুজোর বিসর্জন নিয়েও তৎপর ছিল প্রশাসন। প্রতিমা বিসর্জনের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিষ্কার করা হয়েছে গঙ্গার দুই পারের ঘাটগুলি। সামনেই ছটপুজো। তাই কলকাতার ৩৩টি গঙ্গার ঘাটের সঙ্গে প্রস্তুত ওপারের শহর হাওড়াও।
ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে ঘাট এবং সংলগ্ন রাস্তা আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এবারই প্রথম ঘাটে ঘাটে থাকছে পোশাক বদলের ঘর। প্রায় সবকটি ঘাটেই সাজো সাজো রব। তবে রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।
অন্যদিকে, শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত নির্বিঘ্নে হাওড়া শহরের বিভিন্ন ঘাটে প্রায় ১৬০০ কালীপ্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে। রবিবার বিভিন্ন ঘাট পরিদর্শনের পর হাওড়া পুরনিগমের সাফাই বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ গৌতম চৌধুরি জানান, ছটপুজো উপলক্ষে পুর এলাকার ২২টি গঙ্গার ঘাটকে বিশেষভাবে তৈরি রাখা হচ্ছে। ঘাট পরিষ্কারের জন্য ৭২৫ জন কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য রাখা হবে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
রাষ্ট্রীয় বিহারি সমাজের পক্ষ থেকে মণিপ্রসাদ সিং জানিয়েছেন, রবীন্দ্র সরোবরে ৩ হাজার মানুষ আসেন পুজো করতে। গত বছরই দূষণের জন্য জাতীয় পরিবেশ আদালত সেখানে পুজোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে আদালতে আবেদন জানিয়ে বিশেষ অনুমতি নিয়ে পুজো করা হয়। এ বছরও আদালতের কাছে আর্জি জানানো হবে।