কালীপুজো কাটতেই গুটিগুটি পায়ে শীত আসছে পাহাড়ে। শরতের হিমের পরশ এখন রূপ নিয়েছে হেমন্তের ঠান্ডা হাওয়ায়। প্রায় প্রতিদিনই সকালের দিকে টাইগার হিলে তাপমাত্রা ৭/৮ ডিগ্রির নিচে নেমে যাচ্ছে। এই ছবি দেখা যাচ্ছে বেশ কয়েকদিন ধরেই।
আবার সান্দাকফুতে ভোরবেলা ও সন্ধের পর জল জমে বরফ হয়ে যাচ্ছে। যদিও শৈলশহর দার্জিলিংয়ে ততটাও ঠান্ডা পড়েনি। তবে সেখানের তাপমাত্রা বেশিরভাগ সময়েই ১০ ডিগ্রির আশপাশেই ঘোরাফেরা করছে। কখনও কখনও আবার ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাচ্ছে।
ফলে দুপুর বাদে বাকি সময় পাহাড়ে এখন বেশ ভাল রকম ঠান্ডা। পাহাড়ের স্থানীয় মানুষও জ্যাকেট, সোয়েটার থেকে টুপিতে ঢেকে রাখছেন নিজেদের। আর পর্যটকরা খুব আনন্দ করছেনই এই ঠান্ডায়। তাঁরাও গরম পোশাকে শরীর ঢেকে রাখছেন। আবার শিলিগুড়ির ফুটপাত এখন সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার, টুপিতে ভরে গেছে। হংকং মার্কেটও বুট জুতো আর শীতের রকমারি সামগ্রীতে সেজে উঠেছে।
টাইগার হিলের প্যাভিলিয়ন ম্যানেজার প্রদীপ লামা জানান, বেশ ঠান্ডা পড়ে গেছে। কখনও কখনও ৭ ডিগ্রির নিচেও নেমে যাচ্ছে তাপমাত্রা। তারপরও সূর্যোদয় দেখতে রোজ সকালে অন্তত ১৫০০–র কাছাকাছি পর্যটক ভিড় করছেন এখানে।
দার্জিলিং শহরে এই সময় পর্যটকের সংখ্যা নেহাত কম নেই। এক পর্যটক জানান, পাহাড় বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠেছে এখন। জলে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। মারাত্মক ঠান্ডা। মনে হচ্ছে যে কোনও সময় সান্দাকফুতে তুষারপাতের ঘটনাও ঘটতে পারে। হোটেল থেকে শুনলাম সেখানে জল জমে যাচ্ছে এখনই।
সিকিমের পরিস্থিতিও একইরকম। নাথুলা পাস বরফে ঢেকে গেছে। কয়েকদিন ছাঙ্গুতেও তুষারপাত হয়েছে ভাল রকমের। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের সমতলেও বেশ ঠান্ডা পড়ে গেছে। উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে রাতের দিকে ঠান্ডায় কাঁপছেন মানুষ। জানা গেছে, শিলিগুড়ি-রায়গঞ্জগামী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে খুব সকালে কুয়াশার জন্য গাড়ি চালাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে চালকদের।