‘পাপ’ করলে দন্ড পাওয়াই বিধান। আর কেউ স্বেচ্ছায় প্রায়শ্চিত্ত করতে চাইলে তো কথাই নেই। এবার থেকে কেউ যদি দক্ষিণেশ্বর রানি রাসমণি স্কাইওয়াকে পান বা গুটখার পিক ফেলেন, তবে প্রথমেই তাঁর হাতে বালতি ধরিয়ে দেওয়া হবে। তিনি যদি নিজেই জল নিয়ে এসে সেই পিক ধুয়ে প্রায়শ্চিত্ত করেন তবে ভাল। কিন্তু তিনি যদি পরিস্কার করতে রাজী না থাকেন তবে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অছি পরিষদ তাঁকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করবেন।
দেশের প্রথম স্কাইওয়াক পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি মন্দিরে আগত দর্শনার্থীদের ‘শিষ্টাচার’ শেখাতে সরকারের পরামর্শে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অছি পরিষদের এমনই নজিরবিহীন সিদ্ধান্তের কথা জানালেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এই সিদ্ধান্তকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছেন মন্দিরের পূজারি ব্রাহ্মণরাও।
দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর মন্দিরে দর্শনার্থীদের স্বচ্ছন্দে পৌঁছে দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্কাইওয়াক নির্মাণ করেছে কেএমডিএ। কালীপুজোর আগের সন্ধ্যায় প্রযুক্তিগত দক্ষতার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন এই আকাশপথ উদ্বোধনের পর রানি রাসমণির নামাঙ্কিত করেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।
কিন্তু পরদিনই স্কাইওয়াকের ঝকঝকে রেলিং ও ধবধবে পথের দু’পাশে পান-গুটখার অজস্র পিক ফেলে নোংরা করে দেন উড়ালপথে মন্দিরে যাওয়া হাজার হাজার দর্শনার্থী। যদিও, স্কাইওয়াক পরিচ্ছন্ন রাখতে পিক না ফেলার জন্য উড়ালপথের মাইকেই লাগাতার অনুরোধ করা হচ্ছে। তবুও গত দু’দিনে সিভিক পুলিশ ও মন্দিরের স্বেচ্ছাসেবকদের আপত্তি উপেক্ষা করেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়ে চলেছে।
এরপরই নাগরিক পরিষেবায় দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রকল্প রক্ষায় পুরমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর রীতিমতো কড়া সিদ্ধান্ত নিল মন্দিরের অছি পরিষদ। পুরমন্ত্রী জানান, ‘সরকারের তরফে স্কাইওয়াকে ৫০ জন কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। ৫টি টিম করে ২৪ ঘন্টায় এই কর্মীরা এই উড়ালপথ পরিস্কার করবে।’ তবে এর পাশাপাশি তিনি বলেন, জনগণের সম্পত্তি রক্ষা করতে হবে জনগণকেই।