উৎসবের মরসুম প্রায় শেষ। শুধু ভাইফোঁটা আর ছটপুজোর অপেক্ষা। এই দুটো পার্বন কেটে গেলেই আড়মোড়া ভাঙবে বাংলার রাজনীতি।। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই ফের মাঠে নামার জন্য গা-ঘামাতে শুরু করবে সব রাজনৈতিক দল। চার রাজ্যে বিধানসভা ভোটের উত্তাপও এক ধাক্কায় রাজ্য-রাজনীতির উত্তেজনার পারদ অনেকটা চড়িয়ে দেবে নিঃসন্দেহে। আর বড়দিনের ছুটি পেরিয়েই তৃণমূল-বিজেপির টক্কর জমে যেতে পারে রথ-রাজনীতি এবং দু’দলের ঘোষিত ব্রিগেড সমাবেশ ঘিরে।
রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের মেগা ইভেন্ট ১৯ জানুয়ারির ব্রিগেড সমাবেশ। তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে নভেম্বরেই। ১৬ নভেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলকে নিয়ে বসবেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগের দিন তিনি যাবেন ঠাকুরনগরে মতুয়াদের বড়মা বীণাপাণি দেবীর শতবর্ষ উদ্যাপনের অনুষ্ঠানে। উৎসবের পর নেতাজি ইন্ডোরের সভাই হবে শাসকদলের প্রথম বড় জমায়েত। নেতাদের প্রত্যাশা, এই মঞ্চ থেকেই মমতা ১৯ জানুয়ারির ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি-পরিকল্পনা আরও ব্যাখ্যা করতে পারেন। মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে আহ্বায়ক করে প্রচার কমিটি তিনি আগেই গড়ে দিয়েছেন। সেই কমিটি কী ভাবে কাজ করবে, তার রূপরেখাও বাতলে দিতে পারেন মমতা।
রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বও নেমে পড়বেন তাঁদের রথযাত্রার চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে। অমিত শাহকে নিয়ে এসে ডিসেম্বরে রাজ্যজুড়ে তিনটি রথযাত্রায় তৃণমূলকে চেতাবনি দিতে চান দিলীপ ঘোষরা। সেই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যে চাপানউতোর অপেক্ষা করছে, তার ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়েছে ইতিমধ্যেই। ক’দিন আগেই তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, ‘দলনেত্রীর পায়ে ধরে বলব, আমাদের আর আটকাবেন না। আপনি এক বার অনুমতি দিন। বাংলায় বিজেপির রথ নড়তেই দেব না।’ ৫, ৭ এবং ৯ ডিসেম্বর বিজেপির তিনটি রথ বের হবে যথাক্রমে তারাপীঠ, কোচবিহার এবং কাকদ্বীপ থেকে। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ একাধিক বার প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন, তিনটি রথের উদ্বোধনেই হাজির থাকবেন জাতীয় সভাপতি অমিত শাহ।