আগামী লোকসভা ভোটে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতার সম্ভাবনা যথেষ্ট কম ধরে নিয়েই এবার পুরোদস্তুর হিন্দুত্বের অ্যাজেন্ডায় ফিরছে বিজেপি। শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়নের প্রচার যে ভোট বৈতরণী পার করাতে সক্ষম হবে না, সেটা ধরে নিয়েই এবার যোগী আদিত্যনাথকেই হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি নিয়ে সক্রিয় হওয়ার সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে সঙ্ঘ পরিবার।
সেই বার্তাই পাওয়া যাচ্ছে রামমন্দির নিয়ে আচমকা যোগীর আগ্রাসী মনোভাবে। অযোধ্যায় গিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন ফৈজাবাদ জেলার নাম বদল হচ্ছে। এরপর দেওয়ালির দিন সেই অযোধ্যা থেকেই যোগী ঘোষণা করলেন, রামের জন্মভূমিতেই হবে শ্রীরামচন্দ্রের সুবিশাল স্ট্যাচু। তাঁর কথায়, রামমন্দির এখানেই ছিল এখানেই আছে এবং এখানেই থাকবে।
যোগী বলেন, অযোধ্যায় ভগবান শ্রী রামের মূর্তি গড়ে তোলা হবে, তা হবে অযোধ্যার আসল পরিচয়। অযোধ্যার যে কোনও প্রান্ত থেকেই দেখা যাবে সেই মূর্তি। মন্দিরের ভেতরই থাকবে মূর্তিটি। এবং এটা পরে পর্যটকদের কাছে পথনির্দেশকেরও কাজ করবে।
এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘অযোধ্যায় রাম মূর্তি গড়ে উঠলে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়বে। তবে কতটা জমির ওপর মন্দির তৈরি হবে সেটার ওপরই নির্ভর করছে রাম মূর্তি নির্মাণ।’ আমরা দুটি জমি সমীক্ষা করেছি। ওই দুটির মধ্যে যে কোনও একটিতেই হবে স্ট্যাচুর নির্মাণ। গুজরাটের সর্দার প্যাটেল মূর্তি প্রকল্পের মতোই এটা বড় একটি প্রকল্প বলেও জানান যোগী।
আসলে দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট। কিন্তু চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে জোট ছিন্ন হওয়ায় অন্ধ্রপ্রদেশে সম্ভাবনা শূন্য। তামিলনাড়ু, কেরল,তেলেঙ্গানা থেকে একটি আসনও পাওয়া কঠিন। পাশাপাশি কর্ণাটকের উপনির্বাচনের ফলও এই বার্তা দিয়েছে যে, দক্ষিণ ভারত থেকে আগামী লোকসভা ভোটে প্রাপ্তির ঝুলি হবে যৎসামান্য। ফলে দেশজুড়ে এই কেন্দ্রবিরোধী হাওয়ায় ফের রামের শরণে এসেই ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছে পদ্মশিবির। এমনটাই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।