গোষ্ঠী কোন্দল আর দ্বিচারিতা। কেরালায় কংগ্রেসের হাত ধরলেও বাংলায় রাহুল-সোনিয়ার সঙ্গে থাকতে চায় না বামেরা। সিপিএম যতই চাক, আরএসপি এবং ফব কংগ্রেসের সঙ্গে কোনওরকম সমঝোতায় যেতে নারাজ। এমনকি, বামফ্রন্টের নামে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা চলবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছে তারা।
বামফ্রন্টের আরেক শরিক আরএসপি-র অবস্থানও একই রকম। গত বিধানসভা নির্বাচনের অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে তারাও কংগ্রেসের সঙ্গে ফের ভোট সমঝোতার বিপক্ষে মত দিয়েছে।
কেরালায় ফব কংগ্রেস জোটের অন্যতম শরিক। ইউডিএফ-এর হয়ে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা প্রেমচন্দন লোকসভার আসনেও জিতেছেন গত নির্বাচনে। আগামীদিনেও তারা এই জোট ত্যাগের কোনও ইঙ্গিত দেননি। কেরালায় দলের এহেন অবস্থান ফব ও আরএসপি-র বাংলা নেতাদের অস্বস্তিতে ফেলেছে। বিশেষ করে কংগ্রেস সম্পর্কে আপত্তি তোলা নিয়ে সিপিএমের বঙ্গ ব্রিগেডের তরফে কেরলের উদাহরণ টেনে তাকে নাস্যাত করার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় তাদের অস্বস্তি আগামী দিনে আরও বাড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাই দুদলের নেতৃত্বই এই নিয়ে হেস্তনেস্ত করতে পার্টি কংগ্রেসের মঞ্চকে বেছে নিতে তৎপর।
রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, কংগ্রেসের সঙ্গে বন্ধুতার ইস্যুতে দুই শরিক দলের অন্দরে এহেন কোন্দল আদপে কি সিপিএমের পক্ষে স্বস্তিদায়ক হবে?