এখন আর ১২ মাসে ১৩ পার্বণ নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কল্যাণে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবও এখন বাংলার এক পার্বণই। আর মাত্র একদিন পর, শনিবার থেকেই শুরু হয়ে যাবে ২৪তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। তারই জোর ব্যস্ততা নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে। নতুন রঙের পোঁচ পড়ছে নন্দন চত্বরেও। আগামী শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসবের সূচনা করবেন অমিতাভ বচ্চন। থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেও।
উৎসবের উদ্বোধনী ছবি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে ১৯৬৭ সালে সলিল বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই প্রকাশিত হবে বাংলা সিনেমার ডিরেক্টরি। যেখানে থাকবে ১৯১৭ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত মুক্তি পাওয়া সমস্ত বাংলা ছবির বিশদ বিবরণ। এমন উদ্যোগ এই প্রথম।
এবার বাংলা সিনেমার শতবর্ষ। তাই এ বছর বাংলা সিনেমার শতবর্ষ উদযাপন করা হচ্ছে চলচ্চিত্র উৎসবে। সেই উপলক্ষে সুপ্রিয়াদেবীকে নিয়ে হবে স্পেশ্যাল ট্রিবিউট। দেখানো হবে তাঁর অভিনীত ‘মেঘে ঢাকা তারা’ ছবিটি। দেখানো হবে ১৪টি কালজয়ী বাংলা ছবি। যার মধ্যে থাকছে ‘উদয়ের পথে’, ‘মুক্তি’, ‘উত্তর ফাল্গুনী’, ‘চোখ’, ‘স্ত্রীর পত্র’, ‘সপ্তপদী’, ‘পদ্মানদীর মাঝি’, ‘কোনি’, ‘কাবুলিওয়ালা’, ‘গঙ্গা’, ‘গণদেবতা’, ‘আলিবাবা’ ও ‘উনিশে এপ্রিল’।
পাশাপাশি, বেঙ্গলি প্যানোরামায় থাকছে ‘অসুখওয়ালা’, ‘ওয়াচমেকার’, ‘আই দ্য আদার্স’, ‘বিসর্গ’ আর ‘অন্দরকাহিনী’। থাকছে বিমল রায় পরিচালিত ছবি ‘পহেলা আদমি’, ‘মা’, ‘দো বিঘা জমিন’ আর ‘সুজাতা’। স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে থাকছে সঞ্জয় নাগের ছবি ‘ইয়োর্স ট্রুলি’ আর আদিত্যবিক্রম সেনগুপ্তর ‘জোনাকি’। থাকছে সুজিত সরকারের ছবি ‘অক্টোবর’। মোট ১৭১টি পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি দেখানো হবে এবারে।
প্রসঙ্গত, এবারের উৎসব কলকাতার আঙিনা পেরিয়ে প্রবেশ করছে হাওড়া শহরে। সেই সঙ্গে এই উৎসবের সম্প্রসারণ ঘটছে দমদমেও। হাওড়ার অবনি মলে পিভিআর সিনেমায় আর দমদমে পিভিআর সিনেমা ডায়মন্ড প্লাজায় প্রদর্শিত হবে উৎসবের ছবি। প্রতিবারই উৎসবের ছবি দেখার জন্যে টিকিটের একটা হাহাকার থাকে। লম্বা লাইন পড়ে কাউন্টারে। সেই ভিড় এড়াতেই এবার বুক মাই শোয়ে অনলাইন টিকিটও পাওয়া যাবে।