এই দীপাবলিতেই মোদী জামানার পতনের কাউণ্টডাউন শুরু হয়ে গেল। কর্নাটকের উপনির্বাচনে বিজেপির গোহারান হার দেখিয়ে দিল জোটের ক্ষমতা। সঠিক জোট বাঁধলে বিজেপিকে হারানো যে অসম্ভব নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই তত্ত্বই প্রমাণিত হল।
পাশাপাশি প্রমাণিত হল, একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দিলে বিজেপিকে গরু খোঁজা খুজলেও পাওয়া যাবে না। কর্নাটকের ৩ লোকসভা এবং ২ বিধানসভা আসনে জোটের জয়রথ বিজেপিকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। পাঁচটার মধ্যে চারটি আস্নে শুধু জয় নয়, জয়ের ব্যবধান বুঝিয়ে দিয়েছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের জনরোষ।
বেলারি লোকসভা কেন্দ্র থেকে ১৯৯৯ সালে সুষমা স্বরাজকে হারিয়েছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী। তবে, ২০০৪, ২০০৯ এবং ২০১৪ টানা ১৪ বছর এই কেন্দ্রটি বিজেপি তাদের দখলেই রাখে। কিন্তু এবারে শেষ রক্ষা হল না। নিকটতম প্রার্থী বিজেপির জে শান্তাকে ব্যাপক ব্যবধানে হারিয়ে আসনটি বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নেন কংগ্রেস প্রার্থী ভিএস উগরাপ্পা।
২০১৩ সালে উপনির্বাচনে মন্দা লোকসভা কেন্দ্রটি জেডি(এস) থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল কংগ্রেস। তবে, পরের বছরই লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে হারিয়ে দুর্গ নিজেদের দখলে রাখে জেডি(এস)। এবারেও তার অন্যথা হল না। জেডি(এস) প্রার্থী শিবরাম গৌড়া বিজেপি প্রার্থী সিদ্দারামাইকে প্রায় ২ লক্ষ ভোটে পরাজিত করেন। এখানে বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস প্রার্থী হন গৌড়া ভোট পেয়েছেন মাত্র ১৭ হাজার।
শুধু শিমগা লোকসভা কেন্দ্রটি কোনওমতে ধরে রেখেছেন ইয়েদুরাপ্পার ছেলে রাঘবেন্দ্র। কিন্তু কান ঘেঁষে এই জয় বিজেপি নেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। দুই বিধানসভা কেন্দ্র রামনগর জেডি (এস) প্রার্থী অনিতা কুমারস্বামী এবং জামখান্ডির কংগ্রেস প্রার্থী আনন্দ সিদ্দু নমগৌড়া জয়লাভ করেছেন।
সব মিলিয়ে লোকসভা ভোটের আগের লড়াইয়ের প্রস্তুতি সফলভাবে সেরে ফেলেছেন জোট প্রার্থীরা। বুঝিয়ে দিয়েছেন সঠিক জোট বাঁধলে বিজেপিকে হারানো যে অসম্ভব নয়। অর্থাৎ মোদী জামানার শেষের দিন শুরু হয়ে গেল।