মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় এই কয়েক বছরেই ঢালাও উন্নয়ন হয়েছে রাজ্যে। সেই উন্নয়নের ধারা এখনও অব্যাহত। এবার রাজ্যের নমশূদ্র ও মতুয়া জনজাতির কল্যাণে নতুন দুটি জনজাতি উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করতে চলেছে তৃণমূল সরকার।
সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই দুই উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ছে বলে জানালেন স্বাস্থ্য দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মূলত, উত্তরবঙ্গে নমশূদ্র জনজাতির সংখ্যা বেশি। এবারের উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েই এই সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক স্তরে উন্নতির জন্য, উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গে, বিশেষত উত্তর ২৪ পরগনায় চার থেকে পাঁচ লক্ষ মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন। এই সম্প্রদায়ের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও বিশেষ পদক্ষেপ নিতে চায় রাজ্য সরকার। সেই মতো অনগ্রসর কল্যাণ দপ্তর থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তবে এই দুটি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কে হবেন, বাকি সদস্য কারা হবেন, কাজের প্রক্রিয়া কী হবে বা কীভাবে কাজ হবে, কত বাজেট বরাদ্দ হবে, এই সব বিষয়ে এখনও কিছু ঠিক হয়নি। আপাতত শুধু পর্ষদ গঠনের সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে ২ কোটি ৮৭ লক্ষ মানুষ নমশূদ্র সম্প্রদায়ভুক্ত। উত্তরবঙ্গ সফরের সময় মুখ্যমন্ত্রী এই জনজাতির প্রতিনিধিদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, কলকাতা ফিরেই উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের কথা জেনে নমশূদ্র বিকাশ পরিষদের সভাপতি মুকুল বৈরাগ্য বলেন, ‘২০১২ সাল থেকে আমরা যে দাবী করে আসছিলাম, অবশেষে সেই দাবী পূরণ হল। দীর্ঘ ৭ বছরের এই আন্দোলনকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই উন্নয়ন পর্ষদ গঠন হলে নমশূদ্রদের শুধু আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে তাই নয়, শিক্ষার মান বাড়বে। এই সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি আবার পুরনো গৌরব ফিরে পাবে। বৈঠকি গান, পদাবলি গান আবার তার মর্যাদা ফিরে পাবে। সমাজে বঞ্চনার শিকার হতে হবে না।’