৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বিশ্বের সর্ব বৃহৎ মূর্তি নির্মানের পিছনে লুকিয়ে আছে ব্যাপক আর্থিক দূর্ণীতি। ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ গড়তে ব্রিটেন থেকে ১১ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল মোদী সরকার। তার বদলে মূর্তি তৈরিতে মোট খরচ হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এমনই আর্থিক দুর্ণীতির অভিযোগ করলেন ব্রিটিশ সাংসদ পিটার বেন। তাঁর কথায়, ‘ভারত আর্থিক অনুদান নিচ্ছে। আবার বিরাট অঙ্কের অর্থ খরচ করছে মূর্তি গড়ে তুলতে। এটা নির্বুদ্ধিতা ছাড়া কিছু নয়’। ক্ষুব্ধ বেনের মন্তব্য। ‘এই ঘটনা বুঝিয়ে দিচ্ছে, ভারতকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অর্থ কী ভাবে খরচ করবে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার, কিন্তু এত বড় মূর্তি যদি তারা বানাতে পারে, তা হলে এটা স্পষ্ট যে ওদের সাহায্যের কোনও প্রয়োজন নেই’।
ব্রিটেনের একাধিক সংবাদমাধ্যম ও এমপিদের একাংশের দাবি, বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য ব্রিটেনের থেকে বিরাট অঙ্কেরর অর্থসাহায্য নিয়ে, সেই টাকা ঘুরপথে মূর্তি বানানোয় খরচ করেছেন মোদী। ব্রিটেনের করদাতাদের অর্থ এ ভাবে কেন খরচ হল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। মূর্তি-রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দেশের বিরোধী দলগুলিও।
ব্রিটেনের একটি প্রথম সারির সংবাদপত্রে প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, ৫৬ মাস ধরে বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তি গড়ার কাজ হয়েছে। ওই বছরগুলিতে ব্রিটিশ করদাতারা ভারতকে প্রায় ১১৭ কোটি পাউন্ড অর্থাৎ প্রায় ১১ হাজার ৭৫ কোটি টাকা অর্থসাহায্য করেছেন। সংবাদপত্রটির দাবি, ২০১২ সালে মূর্তি তৈরির কাজ শুরুর বছরে ৩০ কোটি পাউন্ড আর্থিক অনুদান দেয় ব্রিটেন। তার পরের তিন বছরে দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে ২৬ কোটি, ২৮ কোটি ও ১৮.৫ কোটি পাউন্ড। ওই সংবাদপত্রের কথায়, ‘এক হাতে সাহায্য নিয়ে অন্য হাতে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মূর্তি গড়েছে ভারত’।