নভেম্বরেই অধ্যাদেশ এনে ৬ ডিসেম্বর থেকে মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করতে হবে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং সাধু সংসদের সঙ্গে বৈঠক করে মোহন ভাগবত রাম মন্দির নির্মানের জন্য চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিলেন মোদীকে।
অর্থনীতির অবস্থা খারাপ। ক্রমবর্ধমান বেকারি। সিবিআই, আরবিআইয়ের মতো সংস্থায় ডামাডোল। সব মিলিয়ে প্রবল চাপে মোদী। এর মধ্যেই রাম মন্দির নির্মানের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে মোদীকে কার্যত তোপের মুখে ফেলে দিল আরএসএস।
সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত সম্প্রতি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁরাও ভাগবতের এই মতের পক্ষে।আর এটাকেই কাজে লাগিয়ে মোদীকে পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছে সঙ্ঘ। ২০১৪ সালের আগে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বাছাইয়ের প্রশ্নে আরএসএসের প্রথম পছন্দ ছিলেন নিতিন গডকড়ী। মোদী আরএসএসের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিলেন না বলেই তাঁর ব্যাপারে আপত্তি ছিল। কিন্তু কর্মীদের দাবি সে সময় মানতে হয়েছিল আরএসএসকে। সাড়ে চার বছরে সেই পরিস্থিতি বদলাতেই রাশ হাতে নিয়েছে সঙ্ঘ। এখন তাদের অন্যতম অস্ত্র যোগী আদিত্যনাথ। যোগীকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চাননি মোদী, চায়নি সঙ্ঘও। কিন্তু এখন তাঁকেই কাজে লাগাচ্ছে আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, সাধু সংসদ।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, গত লোকসভা ভোটের সময়ে আরএসএসকে সম্পূর্ণ ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ২০১৯-এর ভোটের আগে তার ‘মধুর প্রতিশোধ’ নিতে সক্রিয় আরএসএস। রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে এ বারে মোদীকে পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে মরিয়া সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত।