লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই যেন জটিল হচ্ছে দেশের রাজনৈতিক সমীকরণ। তৃণমূলের সঙ্গে জোট চেয়ে আগেই জোরালো সওয়াল করেছিলেন মালদার কংগ্রেস নেত্রী মৌসম নুর। বৃহস্পতিবার প্রবাদপ্রতিম কংগ্রেস নেতা প্রয়াত গনিখান চৌধুরীর ৯১তম জন্মদিনে আবারও সেই দাবি তুললেন তিনি।
যদিও সরাসরি তৃণমূলের নাম করেননি তিনি। তবে সভামঞ্চ থেকে মালদা উত্তর কেন্দ্রের সাংসদ মৌসম বলেছেন, ‘দেশে বিভেদের রাজনীতি করছে বিজেপি। তাই দেশ জুড়ে মহাজোটের প্রস্তুতি চলছে। এ রাজ্যেও মহাজোট জরুরি। এতে দু’দলই লাভবান হবে।’ দু’দল বলতে যে এখানে কংগ্রেস ও তৃণমূলকেই ইঙ্গিত করেছেন মৌসম, তা বুঝতে বাকি নেই রাজনীতির কারবারিদের।
তাই জেলায় এখন জোর জল্পনা, তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট না হলে শাসক দলেও নাম লেখাতে পারেন মৌসম। উল্লেখ্য, মালদায় ক্রমশ শক্ত হচ্ছে তৃণমূলের মাটি। ভাঙন ধরেছে কোতোয়ালিতেও। তৃণমূলে এসেছেন গনি খানের ভাই আবু নাসের খান চৌধুরি (লেবু) ও ভাগনি শেহনাজ কাদেরি৷ অন্যদিকে, লোকসভা ভোটের আগে কোতোয়ালির আরও কেউ কেউ তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন, এমন ইঙ্গিত দিয়েই রেখেছেন জেলার তৃণমূল পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী৷
গত মঙ্গলবারই সূর্যকান্ত মিশ্রের বন্ধুত্বের বার্তায় সাড়া দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। সোমবার বিজেপিকে আটকাতে প্রয়োজনে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার কথা বলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক। কিন্তু তারপরেও বিজেপিকে রুখতে তৃণমূলের সঙ্গে জোট চায় মালদা জেলা কংগ্রেস, এ খবর চাউর হয়ে গেছে।
গতকাল প্রবাদপ্রতীম কংগ্রেস নেতা প্রয়াত গনিখান চৌধুরীর জন্মদিনে টুইট করে শুভেচ্ছা জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদা তো বটেই গোটা পশ্চিমবঙ্গে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী গনিখান চৌধুরীর জনপ্রিয়তা একসময় ছিল আকাশ ছোঁয়া। তাঁর ভাগ্নী মৌসম পারিবারিক সূত্রেই রাজনীতিতে আসেন।
রাজনীতিবিদদের একাংশের মতে, রাজ্যে কংগ্রেসের যা হাল তাতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মালদা থেকেও মুছে যাবে তারা। তাই নিজের আসন ধরে রাখতে এবার তৃণমূলের সাহায্য নেওয়া ছাড়া আর উপায় নেই মৌসমের।